দেশে এই মুহূর্তে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি। তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়বেন। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে গেছে, সামনে আরও কমবে। তাই এখানে তেলের দাম কমানো দরকার। আমাদের এখানে কোনো জিনিসের দাম একবার বাড়লে আর কমানোর ঠিক থাকে না। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে এফবিবিসিআইর নেতৃত্বে বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফরের বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, তেলের দাম কম থাকতে ব্যবসায়ীরা যেসব কাজ হাতে নিয়েছেন তার খরচ এখন বেড়ে যাবে। এতে সমস্যায় পড়তে হবে তাদের। এ কারণে তেলের দাম ডলারের দামের সঙ্গে সমন্বয় করা উচিত। মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এমন একটা ব্যবস্থা করতে হবে যেন আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমে যাবে বাংলাদেশেও কমবে। আর যখন বাড়বে তখন বাংলাদেশেও বাড়বে। এতে একসঙ্গে ডিজেলের দাম ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না। তিনি জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফরে আমরা ছয়টি বাণিজ্য চুক্তি করেছি। ইউকে মার্কেট ও ফ্রান্স মার্কেটে আগামীতে আমাদের বাণিজ্য আরও বাড়বে। বিদেশি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশকে তাদের মার্কেট মনে করতে শুরু করেছে। এ ছাড়া আমরা বিদেশে অবস্থানরত দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশিদের আমাদের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করছি। তারাই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে নেতৃত্ব দেবে।’ মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ এখন সময়ের দাবি। রপ্তানি বাজার আরও বাড়াতে হবে। বর্তমানে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন ডলার। বাণিজ্য ঝুঁকি মোকাবিলা করতে আমাদের এটাকে ৩০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে হবে। করোনার প্রভাবে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ কিছুটা বেড়েছে। আমাদের ব্যবসা ঝুঁকির মধ্যে আছে। ৯৯ শতাংশ ব্যবসায়ীই লোন নিয়ে তা পরিশোধ করে দেওয়ার মনোভাব রাখেন। মাত্র এক শতাংশ ব্যবসায়ী বিভিন্ন প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহসভাপতি এম এ মোমেন, আমিনুল হক শামীম, আমিন হেলালী প্রমুখ।