শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
যে কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা

সওজ এলজিইডির সড়ক তৈরিতে সমন্বয় নেই

-অধ্যাপক ড. সামছুল হক

সওজ এলজিইডির সড়ক তৈরিতে সমন্বয় নেই

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, দেশের সড়ক বিন্যাসে সমন্বয়হীনতার কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যে যার মতো সমন্বয়হীনভাবে রাস্তা তৈরি করছে। গ্রামের রাস্তা সংযোগ দেওয়া হচ্ছে মহাসড়কে।

তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আরও বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) এবং সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের সড়ক নিয়ে কোনো রূপরেখা নেই। যে যার মতো সমন্বয়হীনভাবে রাস্তা তৈরি করছে। গ্রামের রাস্তা সংযোগ দেওয়া হচ্ছে মহাসড়কে। এটা কখনই মহাসড়কে সংযোগ দেওয়ার কথা নয়। জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক, জেলা সড়ক, উপজেলা সড়ক, ইউনিয়ন সড়ক, গ্রামীণ সড়ক এই ছয়টি স্তরের সড়ক একটি আরেকটিকে ডিঙিয়ে যাবে না। এটাই সড়ক বিন্যাসের মূলনীতি। কিন্তু নিচের তিনটা ধাপে একটা সংস্থা কাজ করছে, উপরের তিনটি ধাপে আরেকটি সংস্থা কাজ করছে। নিজেদের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। পরিকল্পিতভাবে ধীরগতির যানবাহনকে মহাসড়কে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটবে। অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, এসব যানবাহনের চাহিদা আছে এবং তাদের অর্থনীতিতে ভূমিকা রয়েছে। এলজিইডি এবং সওজ একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। তাদের মেলবন্ধনে কাজ করবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। কারণ, দুই সংস্থার উন্নয়ন পরিকল্পনাই পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যায়। তাই রাস্তা কোথায় থেকে কোথায় যাচ্ছে সেটা দেখে অনুমোদন দেবেন তারা। কিন্তু অনুমোদন দেওয়ার সময় সড়কের সংযোগ কোথায় যাচ্ছে তা দেখে না কেউ। স্থানীয় মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন কিংবা স্থানীয় প্রশাসনকে নিজেদের খরচ নিজেদের চালাতে বলা হচ্ছে। তাই আয় বাড়াতে তারা মহাসড়কের পাশের রাস্তা পেরিফেরি করে দালান বানিয়ে মার্কেটের জন্য লিজ দিচ্ছে। মহাসড়কের পাশে বাজার বসায় জনসমাগম, ধীরগতির গাড়ি চলাচল বাড়ছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। মহাসড়কের পাশে বাজারের অনুমোদন দিচ্ছে এমন একটা সংস্থা যাদের সড়ক যোগাযোগ বিষয়ে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এ রকম অবৈজ্ঞানিকভাবে কখনো মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর