শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
যে কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা

মহাসড়কে ধীরগতির যানের দায় বেশি

-অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান

মহাসড়কে ধীরগতির যানের দায় বেশি

বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেছেন, ধীরগতির যানবাহনের মধ্যে নসিমন, করিমন, ভটভটি, ইজিবাইক প্রায়ই মহাসড়কে চলে আসে। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে দুর্ঘটনায় এসব যানবাহনের সংশ্লিষ্টতা বেড়েছে। মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ধীরগতির যানবাহনের দায় অনেকটা বেশি।

তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আরও বলেন, বিআরটিএ  সম্প্রতি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে এসব যানবাহন চলাচলের ব্যাপারে। মহাসড়কে এখন দুই লেন থেকে চার লেন করা হচ্ছে, এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে। আমাদের দেশে মহাসড়কে চলাচলের গতি ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় এবং এক্সপ্রেসওয়েতে ১০০ কিলোমিটার। এই ধরনের দ্রুতগতির সড়কে ধীরগতির যানবাহন চলাচল কোনোভাবেই উচিত নয়। কিন্তু স্বল্প দূরত্বের যাত্রায় আমাদের বিকল্প যানবাহন  নেই এবং অধিকাংশ জায়গায় মহাসড়কের পাশে সার্ভিস রোডও নেই। ধীরগতির যানবাহনের জন্য সমান্তরাল রাস্তা তৈরি করা হয়নি। স্বল্প দূরত্বে যাওয়ার জন্য মানুষের চাহিদা রয়েছে। ২০১৬ সালে হাই কোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের যানবাহন মহাসড়কে চলে আসছে। এ যানবাহনগুলোর জন্য নীতিমালা তৈরি হয়েছে সেটা ভালো উদ্যোগ। এসব যানবাহনের নিবন্ধনের বিষয়ে তারা বলেছে। ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, এসব যানবাহন শুধু মহাসড়ক নয়, আঞ্চলিক সড়কেও দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এই থ্রি-হুইলার যানবাহনের কাঠামোগত জটিলতা রয়েছে। চালকের আসনের পাশে মোটরের স্যাফট উন্মুক্ত থাকে। অনেক সময় নারীদের পোশাকের কোনো অংশ ওই স্যাফটে জড়িয়ে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে। এসব যানবাহনের ব্রেক এত দুর্বল থাকে যে, শক্ত করে ব্রেক কষলে দুর্ঘটনার শিকার হন যাত্রীরা। তাই এসব যানবাহন নির্মাণের নীতিমালা থাকতে হবে। এগুলোর চার্জিং স্টেশন অবকাঠামোও তৈরি করা হয়নি। সব দিকে নজর না দিলে এসব যানবাহনের কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনা থামানো সম্ভব হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর