রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জেল-জরিমানার বিধান রেখে পাস মহাসড়ক বিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহাসড়ক আইন অমান্য করলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা দন্ড আরোপের বিধান রেখে ‘মহাসড়ক বিল-২০২১’ পাস করেছে জাতীয় সংসদ। বিলে মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং টোল আদায়েরও বিধান রাখা হয়েছে।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ১৫তম অধিবেশনে গতকালের বৈঠকে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে       প্রেরণ এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। বিলে বলা হয়েছে, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়া মহাসড়কে কোনো বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, তোরণ বা অনুরূপ কিছু টাঙানো বা স্থাপন করা যাবে না। বিলে মহাসড়ক বা সড়কের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি, অবৈধ দখল বা প্রবেশমুক্ত রাখার জন্য কী করণীয় হবে এবং সার্ভে করার জন্য মানুষের বাড়িতে কতদূর পর্যন্ত ঢুকতে পারবে সেসব বিষয়ে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনো স্থান দিয়ে পদযাত্রা করা যাবে না বা এই আইনের অধীন অনুমোদিত উদ্দেশে মহাসড়কের কোনো স্থানে অবস্থান করা যাবে না। ধীর গতিসম্পন্ন যানগুলো মহাসড়কের নির্ধারিত লেন ছাড়া অন্য কোনো লেন ব্যবহার করতে পারবে না। নির্ধারিত জায়গা ছাড়া মহাসড়কে গবাদি পশু চরানো, প্রবেশ করানো, পারাপার করানো যাবে না। মহাসড়কে ফসল, খড় বা অন্য কোনো পণ্য শুকানো বা অনুরূপ কোনো কাজে মহাসড়ক ব্যবহার করা যাবে না। বিলে মহাসড়ক আইন অমান্য করলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দন্ড আরোপের বিধান রাখা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, সরকার বা সরকারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি মহাসড়ক উন্নয়ন, মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ, মহাসড়ক সংশ্লিষ্ট স্যুয়ারেজ সিস্টেম, ড্রেন, কালভার্ট, সেতু নির্মাণ ও সংস্কার করবে। বিলে আরও বলা হয়, আইনের অধীনে গেজেট দিয়ে সরকার বলে দেবে কোন সড়ক বা মহাসড়কে কে প্রবেশ করবে বা কে প্রবেশ করবে না। কোনটা মহাসড়কের সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে ঘোষণা করা হবে। পরিচালনা কেমন হবে। কোনগুলোর টোল নেওয়া হবে।

বিলে বলা হয়েছে, সরকার বা সরকারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি মহাসড়ক উন্নয়ন, মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ, মহাসড়ক সংশ্লিষ্ট স্যুয়ারেজ সিস্টেম, ড্রেন, কালভার্ট, সেতু নির্মাণ ও সংস্কার করবে। বিলে নির্ধারিত মাশুল প্রদান সাপেক্ষে নাগরিক সেবা প্রদানকারী সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ইউটিলিটি সংযোগগুলো মহাসড়কের প্রান্তসীমা বরাবর স্থাপন করার বিধান রাখা হয়েছে। মহাসড়কের উন্নয়ন, মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণের সময় প্রয়োজন হলে ওই ইউলিটি সংযোগগুলো সেবা প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ খরচে নির্দিষ্ট সময়ে অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে স্থানান্তর করবে।

সর্বশেষ খবর