মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

শেষ দিনে চমকের অপেক্ষা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আলোর কাছে বারবার হেরে যাচ্ছে দুই দল! প্রথম তিন দিনের মতো চতুর্থ দিনও আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল খেলা বন্ধ হয় নির্ধারিত সময়ের ৫৬ মিনিট আগে। এজন্যই হয়তো চট্টগ্রাম টেস্ট গড়িয়েছে পঞ্চম দিনে। চতুর্থ দিন শেষে ম্যাচের যে চিত্র, তাতে চালকের আসনে বসে পড়েছে সফরকারী পাকিস্তান। জিততে বাবর আজমের দলের প্রয়োজন আরও ৯৩ রান। হাতে আছে ১০ উইকেট। তবে অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট বলেই এখনো আশা দেখছেন মুমিনুল হকরা। অপেক্ষায় আছেন আরও একবার বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুলের মায়াবী ঘূর্ণি জাদুর। লিটনের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর ৩৩০। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭। তাইজুলের ঘূর্ণিতে নাকাল পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে স্কোর ছিল ২৮৬ এবং গতকাল দিন পার করেছে বিনা উইকেটে ১০৯ রান তুলে।  প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও পুরোপুরি ব্যর্থ দুই টাইগার ওপেনার সাদমান ইসলাম ও সাইফ হাসান। দুই ওপেনার ভিত গড়ে দিতে পারেননি বলে বড় ইনিংস হয়নি টাইগারদের। গতকাল ৪ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে খেলতে নামে টাইগাররা। দিনের প্রথম বলেই হাসান আলিকে বাউন্ডারি মারেন মুশফিক। মনে হচ্ছিল ভালো কিছু হবে। কিন্তু তৃতীয় বলে হাসান প্রতিশোধ নেন মুশফিককে বোল্ড করে। ৫ উইকেট ৪৩ রান! এরপর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা দলকে টেনে নিয়ে যান অভিষিক্ত ইয়াসির আলি ও লিটন দাস। কিন্তু দলীয় ৯০ রানে হেলমেটে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন ইয়াসির। ভেঙে যায় ইয়াসির-লিটন জুটি। আফ্রিদির বাউন্সারে হেলমেটে আঘাত পাওয়ার আগে ইয়াসির নামের লিখে নেন ৩৬ রানের ইনিংস। আহত ইয়াসিরের কনকাসাব হিসেবে খেলেন নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি সোহান। সতীর্থদের ব্যর্থতায়ও আলোকিত ছিলেন লিটন। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিম্যান দ্বিতীয় ইনিংসের দারুণ দৃঢ়তার পরিচয় দেন। খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস। ৮৯ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৬টি চার। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১১৪ রান। ২৬ টেস্ট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল টেস্ট এটি। শাহীন আফ্রিদির গতি ও বাউন্স এবং সাজিদ খানের ঘূর্ণিতে অসহায় ছিলেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। শুধুমাত্র লিটনের দৃঢ়তায় দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রান করে বাংলাদেশ। আফ্রিদি ৩২ রানের খরচে নেন ৫ উইকেট। যা তার ২০ টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থবার ৫ বা ততোধিক উইকেট শিকার। তাইজুল ম্যাজিকে প্রথম ইনিংসে টাইগাররা এগিয়ে ছিল ৪৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রান। সব মিলিয়ে সফরকারী পাকিস্তানকে টার্গেট দেয় ২০২ রানে। দুই সফরকারী ওপেনার আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিক অবিচ্ছিন্ন থেকে ১০৯ রান তুলে দিন পার করে। প্রথম ইনিংসেও দুই পাকিস্তানি ওপেনার সেঞ্চুরির জুটি গড়েছিলেন। অথচ বাংলাদেশের দুই ইনিংসে ওপেনিংয়ে করেছেন যথাক্রমে ১৯ ও ১৪ রান। আবিদ ব্যাট করছেন ৫৬ রানে। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১৩৩ রান। অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা শফিক অপরাজিত রয়েছেন ৫২ রানে। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৫২ রান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর