শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
ঢাবিতে আলোচনা সভা

বিশ্বমানের গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার এটাই সময়

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়্যারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, কোন দেশে কতটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো কতটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় আছে। তাই তো আমেরিকাতে আইভি লীগ, জাপানে ইম্পেরিয়াল ইউনিভার্সিটি, ইংল্যান্ডে রাসেল গ্রুপ ইউনিভার্সিটি এবং ইন্ডিয়াতে আইআইটি, আইআইএম, মেডিকেল রিসার্চের কথা বলা হয়। আমার মনে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমানের গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে গতকাল এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু প্রভৃতি। অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ বলেন, আমার জীবনের ৫৭-৬০ বছরের মতো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ছিলাম। আমার একটাই প্রত্যাশা জাতির কাছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে, আগামী শতাব্দীতে আমরা যেন, আরও গতিশীল, সৃজনশীল, মানবিক ও মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ উপহার দিতে পারি।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভৌত উন্নয়নের মাস্টারপ্ল্যান হাতে নিয়েছে। আমি অবাক হয়েছি, এত বৃহৎ একটি পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয় হাতে নিয়েছে। আমাদের একাডেমিক ফিল্ডেও পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন, বিশেষ করে প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রটিতে। আমি আশ্বস্ত করতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন আছেন এবং সেই লক্ষ্যেই তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছেন।

১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠার সময়, যখন বাংলাকে অবহেলার দৃষ্টিতে দেখা হতো, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছিল। তখন শিক্ষার হার ছিল একেরও নিচে। সেই থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত ৭৫ হাজার গ্র্যাজুয়েট তৈরি করেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। তারাই একটি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণি গড়ে তুলেছিল। এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৭৫ লাখ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করেছে। একটি সমাজ উন্নয়নের জন্য এটিই প্রয়োজন। শুধু সংখ্যার বিচারে নয়, বরং গুণের বিচারেও অতীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেমন জাতিকে পথ দেখিয়েছে, আগামীতেও সেভাবেই পথ দেখাবে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা ৬৫ ভাগের বয়স ৩০ বছরের নিচে। তোমাদের মেধা দক্ষতার ওপরে কিন্তু বাংলাদেশের সমৃদ্ধি নির্ভর করবে। তোমাদের প্রত্যেকেরই ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, আমরা কিন্তু সেই মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকারী, সেই সংগ্রামের অধিকারী। আমরা যেন সু-উত্তরাধিকারী হতে পারি।

সর্বশেষ খবর