শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সেদিন কী ঘটেছিল আমিনবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবেবরাতে ঢাকার আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলার চরে বেড়াতে যান সাত তরুণ। তারা সবাই ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তেন। রাত সোয়া ১টার দিকে স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত সাত ছাত্রকে ‘ডাকাত’ আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এতে একজন প্রাণে বাঁচলেও ছয়জন ঘটনাস্থলে মারা যান।

হামলায় গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান কেবল আল-আমিন। পরে তার কাছ থেকে সেই রাতের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়।

২০১৬ সালের মে মাসে আল-আমিন  গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই পবিত্র শবেবরাতের রাতে তিনিসহ সাত বন্ধু দারুস সালাম এলাকার একটি মসজিদে নামাজ পড়তে যান। নামাজ পড়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা মসজিদ থেকে বের হন। রাত ১২টার দিকে তারা বিরিয়ানি খেতে গাবতলীর দিকে যান। কিন্তু বিরিয়ানি না পেয়ে তারা হাঁটতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা হাঁটতে হাঁটতে আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামে পৌঁছান। রাত সোয়া ১টার দিকে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়।

বৃষ্টি থেকে বাঁচতে তারা এলাকাটির একটি কুঁড়েঘরে আশ্রয় নেন। তিনি বলেন, “হঠাৎ একদল লোক আমাদের চোখে টর্চলাইট ধরে জানতে চায়, আমরা কোথা থেকে এসেছি। আমরা ছাত্র পরিচয় দিয়ে দারুস সালাম থেকে ঘুরতে এসেছি জানালে তারা আমাদের বলে, ‘তোরা ডাকাত।’ এরপর সবাই আমাদের মারতে শুরু করে।” আদালতে আল-আমিন বলেন, ‘বাঁচার আকুতি জানালেও আসামিরা আমাদের মারধর করেই যাচ্ছিল। আমরা ডাকাত নই, আমরা ছাত্র- এটা বলার পরও আসামিরা আমাদের ছাড়েনি।’

সর্বশেষ খবর