শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কভিড টিকা প্রতি বছর নেওয়ার দিন আসছে

-ফাইজার প্রধান

প্রতিদিন ডেস্ক

টিকা নির্মাতা কোম্পানি ফাইজারের প্রধান ড. আলবার্ট বোর্লা বলেছেন, করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সামনে হয়তো সবারই বছর বছর টিকা নেওয়া লাগতে পারে। ‘উচ্চ মাত্রার সুরক্ষা’ বজায় রাখার জন্যই প্রতিবছর এই টিকা লাগবে, আর এমনটা চলতে পারে বহু বছর। সূত্র : বিবিসি।

বোর্লা এক সাক্ষাৎকারে জানান, ফাইজার এরই মধ্যে ভারতে প্রথম শনাক্ত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ও দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত বেটা ভ্যারিয়েন্টের উপযোগী ভ্যাকসিন বানিয়েছে। কোম্পানিটি এখন ওমিক্রন মোকাবিলায় তাদের টিকায়  কোনো পরিবর্তন আনতে হবে কি না- তা নিয়ে কাজ করছে এবং ১০০ দিনের মধ্যে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট উপযোগী টিকা বানানোর চেষ্টা করছে।

মহামারীর মধ্যে টিকা লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করেছে এবং টিকা ছাড়া ‘আমাদের সমাজের মূল কাঠামোই ঝুঁকির মুখে পড়ত’ বলে উল্লেখ করেন বোর্লা। তিনি জানান, এ বছরের শেষ নাগাদ ফাইজার বিশ্বজুড়ে তাদের এমআরএনএ টিকার ৩০০ কোটি ডোজ সরবরাহ করতে পারবে, আগামী বছর তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে ৪০০ কোটি ডোজ সরবরাহের। তিনি বলেন, মোদ্দা কথা হচ্ছে, আমাদের টিকায় লাখ লাখ জীবন রক্ষা  পেয়েছে। আমরা বিশ্ব অর্থনীতির হাজার হাজার কোটি ডলার বাঁচিয়েছি। টিকা  থেকে বিপুল লাভ করার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ধনী  দেশগুলোতে টিকার খরচ পড়ছে তাদের এক বেলার খাওয়ার সমান; স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে টিকা বিক্রির ক্ষেত্রে লাভ রাখা হয়নি বলে জানান বোর্লা। তবে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, ধনী দেশগুলো আগেভাগে ক্রয়াদেশ  দেওয়ায় শুরুর দিকে অন্যদের পাঠানোর মতো টিকা তাদের কাছে ছিল না।  বোর্লা জানান, তাদের টিকা যেন সাধারণ রেফ্রিজারেটরে ৩ মাস সংরক্ষিত রাখা যায় এমন ফর্মুলা নিয়ে কাজ করছেন তারা। আগামী এক মাস বা এর কাছাকাছি সময়ের মধ্যেই ওই পদ্ধতি বের করা যাবে বলেও আশাবাদী তিনি। প্রসঙ্গত, ফাইজারের এখনকার টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হয়, যে কারণে স্বাস্থ্যসেবা অনুন্নত এমন দেশগুলোতে টিকাটি পাঠানোও চ্যালেঞ্জের। কোম্পানিটি কভিড রোগীদের জন্য মুখে খাওয়ার বড়ি প্যাক্সলোভিডও বানাচ্ছে। ট্রায়ালে এই বডিটি হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম বলে প্রমাণ দিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর