রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

অপ্রতিরোধ্য সাইবার অপরাধ

ডিএমপি ও ঢাকা রেঞ্জে প্রতিটি থানায় চালু হচ্ছে সাইবার বিট - আক্রমণের শিকার হয়ে কেবলই চোখের পানি ফেলছেন অনেকে

সাখাওয়াত কাওসার

অপ্রতিরোধ্য সাইবার অপরাধ

উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সাইবার অপরাধ। দিনকে দিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে সাইবার অপরাধীরা। বাড়ছে অপরাধের সংখ্যাও। সাইবার আক্রমণের শিকার হয়ে কেবলই চোখের জল ফেলছেন অনেক ভুক্তভোগী। প্রশ্নের মুখে পড়ছে অনেকের সামাজিক মর্যাদা। তবে ব্যক্তি পর্যায়ের সাইবার অপরাধ নিয়ে বেশি আলোচনা হলেও অনেকটা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর সাইবার হামলার বিষয়গুলো। প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগের পরামর্শ দেওয়া হলেও তা শুধু কাগজে-কলমেই থেকে যাচ্ছে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে সাইবার অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৫০টি থানায় চালু হচ্ছে পৃথক সাইবার বিভাগ। সম্প্রতি ঢাকা রেঞ্জের প্রতিটি জেলায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্র বলছে, শিগগিরই দেশের সব থানায় সাইবার অপরাধের জন্য আলাদা বিট গঠন করা হবে।

সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার অপরাধ নিয়ে গভীরভাবে ভাবার সময় এসেছে। সাইবার অপরাধ সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। অপরাধ মোকাবিলার সঙ্গে জড়িতদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে প্রয়োজন সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য দেশব্যাপী ইতিবাচক প্রচারণা। সম্প্রতি পুলিশ সদর দফতরের এক অনুষ্ঠানে সাইবার অপরাধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, গ্রাম পর্যায়েও প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগার কারণে সাইবারকেন্দ্রিক অপরাধের মাত্রা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এ জন্য সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি নতুন করে ভাবা হচ্ছে। দেশের সব থানায় সাইবার-সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়ে মামলা হচ্ছে। এসব মামলার তদন্ত দ্রুত করতে প্রতিটি থানায় পর্যায়ক্রমে সাইবার বিভাগ চালু করা হবে। প্রযুক্তির সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও আছে। এ জন্য অনেকেই প্রযুক্তির কারণে সাইবার বুলিং বা সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন। শুধু ব্যক্তি বা সমাজ নয়, অনেক সময় রাষ্ট্রও এর শিকার হচ্ছে। গত প্রায় এক বছরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৭ হাজারের বেশি নারী। এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির সক্ষমতা তুলে ধরে বলেন, বিটিআরসি শুধু ইউটিউব, ফেসবুকের কোনো কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ করতে পারে। সেই কনটেন্ট তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড পরিপন্থী হলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তা অপসারণ করে, নয় তো করে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা সরকারের পক্ষে ইন্টারনেট জগতে কোনো কিছু পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এর আগে আরেক সভায় তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ সালে প্রণয়ন করা হলেও কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে ২০২১ সালে এসেও আইনটি অপরাধ দমনে বিস্তৃত ভূমিকা রাখছে না। আইনের অপপ্রয়োগ মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা সম্ভব। জানা গেছে, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সাইবার হেল্প ডেস্ক ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারে (এনটিএমসি) সাইবার অপরাধ নিয়ে প্রতিদিনই অভিযোগ জমা পড়ছে। অনেক নারী ও তরুণী সাইবার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন। নভেম্বর মাসে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জের জলসুখা ইউনিয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিএসসি নার্সিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ফাতিহা আক্তার আত্মহননের পথ বেছে নেন। মামলা নম্বর সিআর/৭২। অভিযোগ রয়েছে, দুর্বৃত্তরা তার গোসলের দৃশ্য গোপনে ধারণ করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের চেষ্টা করে আসছিল। তবে গতকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গত বছর পুলিশ সদর দফতরে এলআইসি শাখার অধীনে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন সেল চালু করা হয়েছে। নারীরাই বেশি মাত্রায় সাইবার হামলার শিকার হওয়ার কারণে পুলিশ সদর দফতর এমন উদ্যোগ নেয়। হটলাইন নম্বর, ফেসবুক পেজ, ইমেইল, মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা ভার্চুয়ালি এই সেলকে অবহিত করতে পারেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সহায়তার উদ্যোগ নেন এই সেলে দায়িত্বরত সদস্যরা। ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর যাত্রা শুরু করার পর ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত এই সেল ১৭ হাজার ৭৭০টি অভিযোগ গ্রহণ করেছে। এসব অভিযোগের ৪৩ শতাংশ ছিল ফেক আইডি-সংক্রান্ত। ১০ শতাংশ আইডি হ্যাক, ১৫ শতাংশ ব্ল্যাকমেইলিং, ১২ শতাংশ মোবাইল হ্যারাসমেন্ট, ৮ শতাংশ আপত্তিকর কনটেন্ট ছড়ানো এবং বাকি ১২ শতাংশ ছিল অন্যান্য অভিযোগ। পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক মীর আবু তৌহিদ বলেন, ‘আমরা নারীদের জন্য নিরাপদ সাইবার স্পেস বিনির্মাণে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। এ জন্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়াসহ মামলা, জিডি বা উপযুক্ত আইনি প্রক্রিয়ার পরামর্শ ও সংশ্লিষ্ট লোকাল ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়েছে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ইউনিটকে তথ্যপ্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। হটলাইনের প্রতিটি কলকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়।’ প্রতিদিন তারা গড়ে ৬০ থেকে ৭০টি অভিযোগ পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিদেশ থেকে বিভিন্নভাবে সাইবার আক্রমণ করে যাচ্ছে দেশি-বিদেশি কিছু চক্র। বুধবার রাতেও মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসে বোমা আতঙ্কের গুজব ছড়ানো হয়েছিল। এর আগে কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধমন্দিরে হামলা, যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখা যাওয়া, ২০১৫ সালে সারা দেশে অগ্নিসন্ত্রাস, ২০১৮ সালে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর সারা দেশে আট দিনের তান্ডব, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাট আন্দোলনের নামে যানবাহন ভাঙচুর, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ছাত্র মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবন ভাঙচুর, পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগার গুজব ছড়িয়ে রাজধানীর বাড্ডায় রেণু নামের এক উচ্চশিক্ষিতা মহিলাকে পিটিয়ে হত্যার নেপথ্যেও ছিল গুজব। সর্বশেষ চলতি বছর সর্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবে দেশের বিভিন্ন জেলায় পবিত্র কোরআন অবমাননা করার গুজব ছড়ানো হয়। সেই গুজবে অনেক জেলায় ব্যাপক দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনা ঘটে। এমনকি হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। সার্বিক পর্যালোচনায় সব ইস্যুতে গুজবকেই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির একমাত্র হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ জন্য সরকারকে সাইবার-সংক্রান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে। সিআইডির সাইবার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গুজব ছড়ানোর দায়ে এখন পর্যন্ত ১১২টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট শনাক্ত হয়েছে। অ্যাকাউন্টগুলো পরিচালিত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, লিবিয়া ও সৌদি আবর থেকে। পরিচালনার সঙ্গে ৬০ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। সাইবার-সংক্রান্ত নানা সমস্যার বিষয়ে তাদের কাছে গত বছর অভিযোগ এবং ফোনকলের সংখ্যা ছিল ২৭ হাজার ৭৮৬টি। আর চলতি বছর ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ সংখ্যা ২১ হাজার ৯৪২টি। এদিকে থানায় সাইবার বিভাগ চালুর বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, দেশে পৃথকভাবে সাইবার থানা স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল সরকারের। এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে একাধিকবার  বৈঠক হয়েছে। সাইবার অপরাধের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের দুর্ভোগ লাঘবে সর্বসম্মতিক্রমেই পৃথক সাইবার থানা স্থাপন না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ পৃথক সাইবার স্থাপন করলে ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ বাড়াবে। ভুক্তভোগীদের ওইসব থানায় গিয়ে মামলা করতে হবে। আর পুরো রাজধানীতে এমন থানা করা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রতিটি থানায় পৃথক সাইবার বিভাগ চালু করা হচ্ছে। থানা কম্পাউন্ডে থাকা সেই সাইবার বিভাগে সাইবার-সংক্রান্ত মামলাগুলো দায়ের হবে। মামলাগুলোর তদন্ত করতে প্রাথমিকভাবে দুজন করে পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে, যারা প্রযুক্তি বিষয়ে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ও পারদর্শী হবেন। অনেকটা একই ধরনের মন্তব্য ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক হাবিবুর রহমানের। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সাইবার অপরাধের ধরন ও গতিপ্রকৃতি অন্য সব অপরাধ থেকে ভিন্ন। এতে বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শারীরিকভাবে না হলেও মানসিকভাবে ভিকটিমকে সেভ করার জন্য আমরা প্রতিটি থানায় পৃথক বিট গঠন করতে যাচ্ছি। এরই মধ্যে রেঞ্জের ১৩টি জেলার কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে থানাওয়ারি অফিসারদের বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাইবার ডেস্কের জন্য উপযোগী করে তোলা হবে।’ সিআইডি পুলিশের সাইবার ইউনিটের দেওয়া তথ্যমতে, প্রতি মাসে কমপক্ষে ৩ হাজার সাইবার অপরাধের অভিযোগ মিলছে। মামলা হলে জড়িতরা আটকও হচ্ছে। তবে বিচার প্রক্রিয়ায় ধীরগতির অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছর প্রথম ছয় মাসে এ ধরনের অভিযোগ আরও বেড়েছে। নারীদের পাশাপাশি অনেক পুরুষও সেক্সটরশনের (যৌন সম্পর্কের ঘটনা ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে সুবিধা আদায়) শিকার হচ্ছেন। পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে সামাজিক বা ব্যক্তি-মর্যাদাহানি, ভয়ভীতির মাধ্যমে অর্থ আদায় বা অন্য কোনো সুবিধা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে। ডিএমপির সাইবার সংশ্লিষ্ট তথ্য বলছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, পর্নোগ্রাফি আইন, আইসিটি আইন, টেলিকমিউনিকেশন আইনে সারা দেশে ২০১৫ সালে যেখানে ৬৩৮টি মামলা হয়েছে, সেখানে ২০২০ সালে এসে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৫৯টিতে। গত বছর ডিএমপির সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ১৮ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে ৭ শতাংশ, ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে ৩৪ শতাংশ, ২৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ, ৩৬ থেকে ৫৫ বছর বয়সী নারী-পুরুষের মধ্যে ২০ শতাংশ এবং ৫৫ থেকে বেশি বয়সী নারী-পুরুষের মধ্যে ৩ শতাংশ তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার করে অপরাধে জড়াচ্ছে। ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপকমিশনার আ ফ ম আল কিবরিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের কাছে কমপক্ষে ৩০-৪০টি মৌখিক ও লিখিত সাইবার সম্পর্কিত অভিযোগ আসছে। এর মধ্যে ব্ল্যাকমেইলিং, মোবাইল ব্যাংকিং ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগ বেশি। অভিযোগের ধরন বুঝে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

সর্বশেষ খবর