রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

রক্তক্ষরণ কমে আসছে খালেদা জিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘হাই-অ্যান্টিবায়োটিক’ চালিয়ে যাওয়ার কারণে খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ কমে আসছে। এ অবস্থা ধরে রাখতে পারলে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই তাঁকে আবারও কেবিনে নেওয়া সম্ভব হবে। তবে আশঙ্কার কথা হলো- যে কোনো সময় তা আবার বেড়ে যেতে পারে। এ জন্যই ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। কিছুটা স্বস্তির খবর হলো, ‘ইলেকট্রোরাল ব্যালেন্স’ আসছে। অর্থাৎ শরীরে খনিজের   সমতা বিরাজমান। এটি ভারসাম্যহীন হলে ‘অ্যাবনরমালের’ মতো আচরণ করেন তিনি। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক আছে। ইনসুলিন দিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। বর্তমানে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ৮.৫০ আছে। তবে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর মুখ শুকনো, চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ। খুবই আস্তে-ধীরে একটু একটু কথা বলছেন। জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু খেতে পারছেন না কিছুই। দুর্বল শরীরেও তাঁর মনোবল অটুট রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা গত রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।   

তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, গতকালও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার একাধিক রুটিন টেস্ট করা হয়েছে। তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়া যায়, ততই মঙ্গল। নইলে ঝুঁকি বাড়বে।

এদিকে জানা গেছে, অসুস্থ শাশুড়ি বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতিদিনই হাসপাতালে দেখতে যান পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান শিথি। হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকেন তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুয়ায়ী নানা ধরনের (তরল) খাবার রান্না করে নিয়ে যান। কিন্তু তেমন কিছুই খেতে পারেন না বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় মুখের রুচি একেবারেই কমে গেছে। তাই সিসিইউর বেডে শুয়ে খালেদা জিয়া পুত্রবধূ শর্মিলাকে ধীরে ধীরে গতকাল বলেছেন, ‘এত খাবার আনো কেন? আমি তো কিছুই খেতে পারি না। শাশুড়ির কাছে পুত্রবধূ জানতে চান ‘মা আপনার  কেমন লাগে? কী খেতে ভালো লাগে। জোর করে হলেও তো কিছু খেতে হবে। আপনার জন্য সবাই দোয়া করছেন’। পুত্রবধূ ও শাশুড়ির মধ্যে এমন কথোপকথনের বিষয়টি জানান মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য। তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের’ আত্মবিশ্বাস ও মনোবল দৃঢ় আছে। আমরা মাঝে-মধ্যে বিচলিত হয়ে পড়লেও তিনি ঠিক থাকেন। সবার কাছে দোয়া চান। আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী প্রতিদিন হাসপাতালে খাবার নিয়ে আসেন। তবে তিনি হাসপাতালে রাতে থাকেন না। মাকে খাইয়ে দিয়ে আবার চলে যান।

সর্বশেষ খবর