শিরোনাম
সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ময়নাতদন্ত চায় পুলিশ

নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ কুয়েট শিক্ষকের পরিবারের

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলার আবেদন করেছে পুলিশ। গতকাল বিকালে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে খানজাহান আলী থানা পুলিশ এ আবেদন জানিয়েছে। তবে যেহেতু এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি, সে কারণে আদালত লাশ তোলার অনুমতি দেয়নি। খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রবীর কুমার বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, শিক্ষকের লাশ তোলার আবেদন করলে আদালতে এ বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পুনঃআবেদনের নির্দেশনা দেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করলেও লাশ যেহেতু কুষ্টিয়ায় দাফন করা হয়েছে, সে কারণে আবেদনটি কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয়েছে। গত ১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়া ড. সেলিমের মরদেহ কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়েছিল। জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে কুয়েটের লালন শাহ হলের প্রভোষ্ট অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। কিন্তু শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে অধ্যাপক সেলিম হোসেন কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মির মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন।

নিরাপত্তাহীনতায় সেই শিক্ষকের স্ত্রী-পরিবার : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর উ™ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই শিক্ষকের স্ত্রী ও পরিবার।

গতকাল কুয়েট শিক্ষক সমিতি আয়োজিত শোকসভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে শিক্ষকের স্ত্রী সাবিনা আক্তার নিরাপত্তাহীনতার এ কথা জানান। এ সময় তিনি পারিবারিক নানা ঘটনার স্মৃতিচারণ করে কান্নাকাটি করেন। শিক্ষক ক্লাবে এ শোকসভার আয়োজন করা হয়। কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ড. মো. সেলিম হোসেনের বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে শোকসভা ও বিকালে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। ড. সেলিম হোসেন স্যারের স্ত্রী শোকসভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে কিছু বিষয়ে কথা বলেছেন, তার মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার কথাও বলেছেন। তিনি নিজেকে নিরাপদ মনে করছেন না।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর