শিরোনাম
সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার চিন্তাভাবনা

♦ আইনি উপায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে : আইনমন্ত্রী ♦ নিজেদের বাঁচার স্বার্থে মুক্তি দিন : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার চিন্তাভাবনা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বেগম খালেদা   জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার কোনো সুযোগ আইনে আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ গতকাল রাজধানীতে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনে জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজদের ২৫তম জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইনের কোনো ফাঁক, উপায় আছে কি না, সার্বিক দিক বিবেচনা করার পরই এ বিষয়ে মনে হয় সিদ্ধান্তে আসা উচিত।’ সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে আনিসুল হক বলেন, এখন অনেক পক্ষ থেকেই আবেদন এসেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনের কোনো ফাঁক, উপায় আছে কি না- সার্বিক দিক বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া আপনারা দেখেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব সময় মানবিক দিক দেখেছেন। আমাদের কথা হচ্ছে, আইনের যেন কোনো ব্যত্যয় না হয়। অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আপনাদের নিজেদের বাঁচার স্বার্থেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠান। তাঁকে সুস্থ করে দেশে নিয়ে আসুন। তা না হলে আপনারা পালানোর পথও খুঁজে পাবেন না। কোটি কোটি মানুষ রাজপথে নেমে আসবে।’  গত রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি আইনমন্ত্রীর বক্তব্য শুনিনি। কিংবা তাদের পক্ষ থেকে কেউ কোনো যোগাযোগও করেনি। তবে তিনি যদি ‘পজিটিভ’ কিছু বলে থাকেন তো ভালো।” এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র (ইনজেকশন) দিয়ে তাঁর পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ বন্ধ রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা সর্বক্ষণ আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর অবস্থার যেন অবনতি না হয়। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গত রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সিসিইউতে রেখেই তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখন তাঁর চিকিৎসা একটাই- তা হলো কীভাবে তাঁর শারীরিক অবস্থার আর অবনতি না হয় সে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। কারণ দেশীয় এই চিকিৎসায় তাঁর সুস্থ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সুস্থতার জন্য তাঁকে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য কিংবা জার্মানির কোনো ‘অ্যাডভান্স হেলথ কেয়ার সেন্টারে’ নিয়ে যেতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

সর্বশেষ খবর