সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে উত্তেজনা

থমথমে আনন্দ মোহন কলেজ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজে গত শনিবার দিনভর দফায় দফায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও গতকাল থমথমে অবস্থায় ছিল কলেজ ক্যাম্পাস। সকালে জেলা ছাত্রলীগের অনুসারীরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল বের করে ও হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান। অন্যদিকে মহানগর ছাত্রলীগের অনুসারীরা সারা দিন ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিদ্ধান্তকে পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন।

এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় কলেজ কতৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য আবাসিক হল বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমান উল্লাহ স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে ছেলেদের এবং রবিবার সকাল ৮টার মধ্যে মেয়েদের হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে অনেকটা বাধ্য হয়েই হল ত্যাগ করেন শিক্ষার্থীরা। কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমান উল্লাহ জানান, ‘উ™ভূত পরিস্থিতি এড়াতেই হল বন্ধ করা হয়েছে। কলেজের আইনশৃঙ্খলা ও হোস্টেল স্টিয়ারিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কলেজের আওতাধীন ছাত্র ও ছাত্রী নিবাসসমূহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।’ এর আগে শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগের ইউনিটকে জেলার অধীনস্থ ঘোষণা করে।  কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন ঘোষণার পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠে ময়মনসিংহ মহানগরীতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ আনন্দ মোহন কলেজ। এ নিয়ে মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগের ইউনিটকে জেলা শাখা ছাত্রলীগের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। কলেজের অবস্থান মহানগরের ভিতরে হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে জেলা ছাত্রলীগের অন্তর্ভুক্ত হয় এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগসহ সাবেক ছাত্রলীগের অনেক সিনিয়র নেতাও। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম জানান, ‘মহানগরের ভিতরের প্রতিষ্ঠানগুলো সাংগঠনিকভাবেই মহানগর ছাত্রলীগের অন্তর্গত। সাংবিধানিকভাবে মহানগর ছাত্রলীগই পরিচালনা করবে। আমরা আশা করব গঠনতন্ত্রের নিয়মানুযায়ী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে।’

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন জানান, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলে কেউ কেউ পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাইছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আনন্দ মোহন কলেজ শাখা জেলা ছাত্রলীগের অধীনেই থাকবে।’ অন্যদিকে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নওশেল আহমেদ অনি জানান, মহানগরের ভিতর অবস্থিত আনন্দ মোহন কলেজকে জেলার আওতায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্বান্তকে স্বাভাবিকভাবেই মানতে পারেননি শিক্ষার্থীরা। তাই তারা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেছেন। সেখানে জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে আমি শুনেছি। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন, ক্যাম্পাস পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর