বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ

গ্রেফতারের নির্দেশ এবি ব্যাংকের ১৫ কর্মকর্তাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় ব্যাংকটির ১৫ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

মামলার আসামিরা হলেন- এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক এরশাদ আলী, এবি ব্যাংক কাকরাইল শাখার সাবেক ম্যানেজার এ বি এম আবদুস সাত্তার, কাকরাইল শাখার সাবেক রিলেশনশিপ ম্যানেজার মো. আবদুর রহিম, কাকরাইল শাখার এসভিপি মো. আনিসুর রহমান, সাবেক ভিপি শহিদুল ইসলাম, এভিপি মো. রুহুল আমিন, ইভিপি ওয়াসিকা আফরোজ, সাবেক ইভিপি মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এসইভিপি সালমা আক্তার, এভিপি মো. এমারত হোসেন ফকির, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম, এমভিপি শামীম এ মোরশেদ, কাকরাইল শাখার ভিপি খন্দকার রাশেদ আনোয়ার, এভিপি সিরাজুল ইসলাম, সাবেক ভিপি মোহাম্মদ মাহফুজ উল ইসলাম, কাকরাইল শাখার ডিএমডি মশিউর রহমান চৌধুরী ও সাবেক এমডি শামীম আহমেদ। আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। পরে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয় যে, এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। এই সূত্র ধরে গত ৯ জুন একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ১৭ জনকে আসামি করা হয়। এই ১৭ জনের মধ্যে আসামি শহীদুল ইসলাম ও আবদুর রহিম আগাম জামিনের আবেদন করেন। আগাম জামিনের পরে তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। নিম্ন আদালত তাদের জেলে পাঠিয়ে দেয়। এরপর জেল থেকে তারা জামিন চেয়ে নিয়মিত আপিল দায়ের করেন। আজ (গতকাল) আদালতে শুনানি শেষে আদালত এ দুজনের জামিন প্রশ্নে রুল দেয়। একই সঙ্গে আগামী সাত দিনের মধ্যে বাকি ১৫ আসামিকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি এই ১৫ জন যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

 

সর্বশেষ খবর