বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

রায় কার্যকর চান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতের দেওয়া রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদের চাওয়া, আইনি প্রক্রিয়া মেনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রায় কার্যকর করা হোক।

গতকাল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এতে অভিযুক্ত ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার বলেন, দীর্ঘদিনের  প্রতীক্ষিত বিচার আমরা পেয়েছি। আরও অল্প সময়ে হতো, যদি কভিড না আসত। আমার মনে হয়, বিচার বিভাগ প্রজ্ঞা ও আইন অনুযায়ী সঠিকভাবেই বিচার করেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আমরা সবাই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাচ্ছিলাম এবং সেটাই হয়েছে। আশা করব, এ রায় যেন স্বল্প সময়ে কার্যকর হয়।

এদিকে এ রায়ে ‘আস্থার প্রতিফলন’ ঘটেছে বলে মনে করছেন বুয়েটের শিক্ষার্থী। তারাও চান, অতি দ্রুত এ রায় কার্যকর হোক। রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে একদল শিক্ষার্থী বলেন, রায়ে চার্জশিটভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এই রায়ের মাধ্যমে সবার আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা এই রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি এবং আবরারের পরিবারের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আশাবাদ ব্যক্ত করছি যে, এই রায় শেষ পর্যন্ত বহাল থাকবে এবং এই রায় বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ সময় তারা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক তিন আসামি এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মুজতবা রাফিদ ও মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিন্নানকে দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী পিটিয়ে হত্যা করে।

 

সর্বশেষ খবর