বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়ার অবস্থার অবনতি ফের রক্তক্ষরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে আবারও তাঁর পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। চিকিৎসকরা আবারও রক্তক্ষরণ বন্ধে ‘লাইফ সাপোর্ট ইনজেকশন’ প্রয়োগ করছেন। এ অবস্থাকে বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ‘ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশন’ বলে উল্লেখ করেছেন।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আবারও সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আবারও রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাঁর লিভার সিরোসিস এখন যে পর্যায়ে আছে সে পর্যায়ের উন্নত চিকিৎসা দেশে নেই। চিকিৎসকরা এ কথা বারবার বলছেন। কিন্তু সরকার তা কিছুতেই শুনছে না। আইনমন্ত্রী : খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল গুলশান কার্যালয়ে বলেছেন, বিএনপি সমর্থক ১৫ জন আইনজীবী তাঁর সঙ্গে দেখা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে এ উপমহাদেশের কোনো আদালতের কোনো নজির আছে কি না তা তিনি খতিয়ে দেখছেন। শেষ প্রান্তে রয়েছে বিষয়টি। কিছুদিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে। বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় যে দরখাস্ত একবার নিষ্পত্তিকৃত হয়ে থাকে সে দরখাস্তকে আবার পুনরুজ্জীবিত করার কোনো সুযোগ নেই। তাঁর এ আইনি ব্যাখ্যাই সঠিক।

মির্জা ফখরুল : জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মানববন্ধনে গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। চিকিৎসকরা বলছেন, অবিলম্বে তাঁকে (খালেদা জিয়া) যেন উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকার প্রথম থেকেই পুরোপুরিভাবে এ বিষয়টাতে একটা নেতিবাচক অবস্থান নিয়েছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, খালেদা জিয়া যখন কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন তখন তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। বারবার বলার পর চিকিৎসার জন্য বোর্ড গঠন করা হয়। সে বোর্ডও খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। পরে ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা সেখানে যাওয়ার পর তাঁদের সুপারিশক্রমে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে আনা হয়। যতক্ষণে হাসপাতালে আনা হয় ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে পাসপোর্ট দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে, কোনো অঘটন ঘটলে এর সব দায় সরকারকে নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর