রবিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা আজ প্রমাণিত : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান ডিজিসহ সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। দেশের জন্য এটি চরম লজ্জার ঘটনা। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে এবং ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে ২০ দলীয় জোটের শরিক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, তার প্রমাণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, দেশের জনগণকে হত্যা করে, মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়, তাদের পরিণতি এমনই হয়। তাদের ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি কোনো চমক নয়। এটি তাদের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এত দিন ধরে বলে আসছি, মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এই সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। পুলিশকে ব্যবহার করছে, প্রশাসনকে ব্যবহার করে মানুষকে হত্যা করছে। এ কথা আজকে প্রমাণিত হয়েছে। এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার পরিচালনায় কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান ও আবদুস সালাম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, আহসান হাবিব লিংকন, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, এনডিপির আবু তাহের, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নিষেধাজ্ঞার জন্য দায়ী সরকার : গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি গণতন্ত্র সম্মেলন হয়ে গেল। বাংলাদেশকে ডাকা হয়নি। এরপর র‌্যাবের ছয় কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর জন্য দায়ী বর্তমান সরকার। ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে সুচিকিৎসা ও স্থায়ী মুক্তি এবং জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কুরুচি বক্তব্যের প্রতিবাদে’ এই মানববন্ধন হয়। রিজভী আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করেছে চোখ বন্ধ করলে প্রলয় বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু চোখ বন্ধ করলে প্রলয় বন্ধ হয় না। সেটা এখন শুরু হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর