মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কবর থেকে কুয়েট শিক্ষকের লাশ তোলা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

কবর থেকে কুয়েট শিক্ষকের লাশ তোলা হচ্ছে

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ব- বিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে  অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে গত ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েট বন্ধ ছিল। এদিকে শিক্ষক ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে কবর থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্তের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে তদন্ত কমিটি। এ বিষয়ে আদালতের অনুমতিও পাওয়া গেছে। দু-এক দিনের মধ্যে লাশ উত্তোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কুয়েটের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার মুখপাত্র রবিউল ইসলাম জানান, রবিবার রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ওই শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কিন্তু তদন্তে আরও সময় প্রয়োজন হওয়ায় তদন্ত কমিটির সুপারিশে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সময়সীমা বাড়ানো হয়। তদন্ত কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন আহমাদ জানান, ‘ঘটনার তদন্তে আমরা আরও ১০ দিনের সময় চেয়েছি। সেই অনুযায়ী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। ক্যাম্পাসও একই সময় পর্যন্ত বন্ধ থাকছে।’ তিনি বলেন, যারা অভিযুক্ত বা অভিযুক্ত ছাড়া প্রত্যক্ষদর্শী বা সংশ্লিষ্ট তাদেরকে চিঠি দিয়ে মতামত নেওয়া হচ্ছে। কমিটির সদস্যরা ড. সেলিমের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছেন। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ তোলার অনুমতি পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটির সদস্য ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক জানান, আদালত থেকে লাশ উত্তোলনের অনুমতি পাওয়া গেছে। দাফতরিক অনুমোদনের পর লাশ উত্তোলন শেষে ময়নাতদন্ত করা হবে। এদিকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা গতকাল ড. মো. সেলিমের পৈতৃক বাড়ি কুষ্টিয়ায় গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মৃত্যুর পর এখানে এনে ড. সেলিমকে দাফন করা হয়। জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর দুপুর ৩টার দিকে কুয়েটের ইইই শাখার প্রফেসর ও লালন শাহ হলের প্রভোস্ট ড. সেলিম হোসেন হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। কিন্তু শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে সেলিম হোসেন কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। এ ঘটনায় কুয়েট ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ নয়জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

কুয়েটে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ড. সেলিমের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারা আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাইলে তাদের সহায়তার কথা বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর