মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

তথ্য না দিয়ে টালবাহানা করলে শাস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য না দিয়ে টালবাহানা করলে শাস্তি

প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমেদ বলেছেন, তথ্য পাওয়া নাগরিকের অধিকার। দুর্নীতি করার ইচ্ছার কারণেই অনেকে তথ্য দিতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেননি। অনেক তথ্য প্রকাশিত না হওয়ায় সেগুলো নিয়ে মিথ্যা বা গুজবের ডালপালা ছড়ায়। তথ্য না দিয়ে কেউ টালবাহানা করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। গতকাল এক অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এমআরডিআই এর আয়োজন করে। এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও নেপাল চন্দ্র সরকার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মরতুজা আহমেদ বলেন, তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়া যাবে না এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এমন তথ্যও দিতে হবে; তা যত গোয়েন্দা তথ্যই হোক। দুর্নীতির প্রশ্নে, মানবাধিকারের প্রশ্নে কেউ তথ্য অধিকার আইনের বাইরে নয়। এ আইন কাউকেই ছাড়বে না।

তথ্য অধিকার বিভিন্ন শ্রেণির একাডেমিক সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেগুলো শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয় না। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে তথ্য অধিকার কমিশনের লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটগুলোয় ঢুকে মানুষ তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জানতে পারছে। কিন্তু বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ লিঙ্ক দেওয়া নেই। ড. সাদেকা হালিম বলেন, এটি অস্বীকার করা যাবে না যে আমরা সামন্তবাদী চিন্তাধারা থেকে এখনো বের হতে পারিনি। তাই তথ্য না দেওয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তথ্য অধিকার আইন নিয়ে আলোচনাগুলো এখনো প্রজেক্টনির্ভর। প্রজেক্টের বাইরে আমরা বের হতে পারিনি। টিআইবি যখন তথ্য আনতে যায় তখন সচেতন নাগরিক কমিটি নামে একটি কমিটি জেলা শহরগুলোয় কাজ করে। তিনি বলেন, তাদের কাছেই সংসদ সদস্য, মেয়র, কাউন্সিলরের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে। আমি তথ্য কমিশনারের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় দেখেছি মেথোডোলজি অনুসারে এ তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় অনেক ঘাটতি রয়েছে। তথ্য আনতে হলে সেটি প্রতিনিধিত্বমূলক হতে হবে। তথ্য কমিশনকে একটি স্বাধীন কমিশনে রূপ করতে হবে। একে সাংবিধানিক কমিশন করতে হবে, যাতে স্বায়ত্তশাসন পুরোপুরি চর্চা করা যায়। কমিশনগুলোকে শক্তিশালীরূপে দেখতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা কতটুকু তা-ও গুরুত্বপূর্ণ। নেপাল চন্দ্র সরকার বলেন, দুর্নীতি কমিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই তথ্য অধিকার আইনের উদ্দেশ্য। তথ্য নিয়ে একজন নাগরিক কী করবেন এ প্রশ্ন করারও কোনো সুযোগ নেই। অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় বরিশাল, যশোর ও রংপুর জেলার ৩৩ জন তরুণ-তরুণী অংশ নেন। এর মধ্যে সাদিয়া সুলতানা ঊর্মি, উম্মে কুলসুম, সুকান্ত চন্দ্র হালদারসহ অন্যরা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

সর্বশেষ খবর