শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন

সন্ত্রাসবাদ কমেছে বাংলাদেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২০ সালে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ কমেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে বিশ্বের দেশে দেশে সন্ত্রাসবাদ পরিস্থিতির তথ্য ওঠে এসেছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে গত বছর তিনটি সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণক্ষয় হয়নি বলে জানানো হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশে পুলিশের বিশেষ দুই ইউনিট র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসিইউ) কার্যক্রমসহ সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সিটিটিসিইউ ও র‌্যাব বিদেশের সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি বা সন্ত্রাসীদের (ফরেন টেররিস্ট ফাইটার-এফটিএফ) গ্রেফতার বা তাদের বিষয়ে অনুসন্ধানে আমূল সংস্কার ও পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রতিবেদনে যে তিনটি সন্ত্রাসী ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে তার মধ্যে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে আইইডি বিস্ফোরণ, ৩১ জুলাই নওগাঁয় হিন্দু মন্দিরে হাতবোমা পুঁতে রাখা এবং ২৪ জুলাই গুলশানে পুলিশের  মোটরসাইকেলে আইইডি রাখার ঘটনা রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও নওগাঁর ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস)। চট্টগ্রামে দুই পুলিশ ও একজন সাধারণ লোক আহত হলেও নওগাঁর ঘটনায় কোনো হতাহত নেই। গুলশানে পুলিশের মোটরসাইকেলে আইএস-সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর আইইডি রাখার কথা বলা হলেও পরে তা ভুয়া হিসেবে ধরা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএস ও আল কায়েদার মতো আন্তঃরাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে দেশি সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে বাংলাদেশ সরকার। জঙ্গিদের বিষয়ে বাংলাদেশের ‘শূন্য সহিষ্ণুতার’ নীতি নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। তবে একই সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মামলা ঝুলে থাকার কথাও বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বলছে, সীমান্ত ও বন্দরগুলোতে নিয়ন্ত্রণ জোরালো করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন। টহলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষিত বিস্ফোরক শনাক্তকারী কে-নাইন টিম সেখানে থাকলেও বিমানবন্দরে তাদের অবস্থান স্থায়ী নয়।

প্রতিবেদনের বিষয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর অন্তর্নিহিত বিষয়াদি তুলে ধরে প্রতি বছর প্রকাশিত কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম। এটি যুক্তরাষ্ট্রকে নীতি, কর্মসূচি ও সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে তথ্যসমৃদ্ধ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে; যার মাধ্যমে আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক সক্ষমতা ও সহনশীলতা তৈরি করতে চাই।

সর্বশেষ খবর