সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

দখলের কবলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমি

কুনজর স্থানীয় প্রভাবশালীদের | অভিযোগের পাহাড়, সমাধানের তাগিদ নেই | সীমানাপ্রাচীর দেওয়ার পরামর্শ

আকতারুজ্জামান

দখলের কবলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমি

রাজশাহীর ছোটবনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ছোনকা দ্বি-মুখী উচ্চবিদ্যালয়ের জমি দখলে নিয়ে বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছেন স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও যুবলীগ নেতা ফেরদৌস জামান মুকুল। কয়েক সপ্তাহ আগে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন তিনি। স্কুলের জমি দখল করে তার এমন অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ও স্থানীয় এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। ফলে বিদ্যালয়ের সভাপতি অনেকটা নির্বিঘ্নেই চালাচ্ছেন এই দখলদারি। শুধু বগুড়ার ছোনকা বিদ্যালয়ই নয়, সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমি দখল করে রাজত্ব করছেন প্রভাবশালীরা। ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যদেরও কুনজর পড়েছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের জমি দখলে। সরকারের বিভিন্ন দফতরে এ নিয়ে অভিযোগের পাহাড় থাকলেও কর্তৃপক্ষকে এসবের সমস্যা সমাধানে তেমন উদ্যোগী হতে দেখা যায় না।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমি দখল ঠেকাতে সীমানাপ্রাচীর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ১০ নভেম্বর এক বৈঠকে কমিটির সদস্যরা বলেন, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হলে বিদ্যালয়ের জমি অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান।

তথ্যমতে, দখল হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাই বেশি। ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলেয়া ফেরদৌসী শিখা গতকাল এ প্রতিবেদককে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলের ব্যাপারে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ পাওয়া যায়। সারা দেশেই বিদ্যালয়গুলোতে এমন চিত্র দেখা যায় বলে জানান তিনি।

বগুড়া থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুর রহমান টুলু জানান, ১৯৫২ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা ছোনকা দ্বি-মুখী উচ্চবিদ্যালয়ে প্রায় পঞ্চাশ বিঘা জমি দান করেন। এখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ছাড়াও রয়েছে মসজিদ, ছোনকা বাজার ও অভিজাত মার্কেট। মাসিক ভাড়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে মার্কেটের দোকানের পজিশন বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ ছাড়া কিছু জমি স্থানীয়দের মধ্যে ইজারা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই লিজ বা ইজারা মানছেন না বিদ্যালয়টির বর্তমান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও যুবলীগ নেতা ফেরদৌস জামান মুকুল। তাই তাদের উচ্ছেদ করে নিজেই জবরদখল শুরু করেছেন। লিজ নেওয়া বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে তাদের জায়গা থেকে উচ্ছেদ করে স্কুলের ওই সব জায়গা নিজেই দখলে নিয়েছেন তিনি। জবরদখল করা জায়গার একটিতে বাড়ি বানাচ্ছেন ওই সভাপতি। সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, স্কুলের সভাপতি ও যুবলীগ নেতা ফেরদৌস জামান মুকুল যে জায়গায় বাড়িটি নির্মাণ করছেন তা লিজকৃত জায়গা। তবে অভিযুক্ত ফেরদৌস জামান মুকুল বলেন, ‘দলীয় গ্রুপিং ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’ বগুড়ার শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের জায়গা জবরদখল করে বাড়ি নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই। খোঁজখবর নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে স্কুলগুলোতে শিক্ষাব্যবস্থা যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি থমকে আছে স্কুলের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ।

রাজশাহী থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক কাজী শাহেদ জানান, নগরীর নামো ভদ্রা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মুন্নুজান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করা হয়েছে। তথ্যমতে, নামো ভদ্রা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২০২০ সালে চারতলা ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও সেই কাজ থেমে গেছে দখলদারদের কারণে। জায়গা বুঝে না পাওয়ায় ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। স্কুলের জমির মাঝ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এলাকাবাসীর চলাচলের রাস্তা। আবার স্কুল-সংলগ্ন কয়েকটি পরিবার স্কুলের জমির একটি অংশ দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছে। সময়মতো জায়গা বুঝে না পেলে স্কুলটির জন্য চারতলা ভবন নির্মাণকাজের বরাদ্দ করা সরকারি অর্থ ফিরে যেতে পারে। মুন্নুজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল দেয়াল ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে পাশের বাড়ির ভবন। বোয়ালিয়ার থানা শিক্ষা অফিসার শামীম আহমেদ খান বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছে মুন্নুজান স্কুলসহ অন্যান্য স্কুলের দখলের প্রতিকার চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগরীর ছোটবনগ্রাম সরকারি প্রাইমারি স্কুলের জায়গা দখল করে ‘কবর খনন কমিটি’র নামে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে আড্ডা চলে বখাটেদের। স্কুলের জায়গা দখল হওয়া প্রসঙ্গে অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে চাননি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুস সালাম। তিনি এমন কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।

বরিশাল থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক রাহাত খান জানান, নগরীর স্ব-রোডে ৭৯ নম্বর কালীবাড়ি পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য দুই দফা স্কুলের নতুন ভবনের বরাদ্দ হলেও জায়গা না পাওয়ায় ফেরত দেওয়া হয় বরাদ্দকৃত অর্থ। অভিযোগ রয়েছে, গত তিন দশকে স্কুল-সংলগ্ন ৭ শতাংশ সরকারি জমি লিজ নিয়ে স্থাপনা করেছেন জনৈক অনিক চৌধুরী, তার মামা মোবারক সরদার, মো. বাবুল ও প্রদীপ চন্দ্র নামে চার ব্যক্তি। অথচ শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্যও এখানে নেই কোনো খোলা জায়গা। জানা গেছে, স্কুলের নতুন পাকা ভবন নির্মাণের জন্য দুই দফা টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। ঠিকাদারও নিয়োগ হয়েছিল। কিন্তু ভবন নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত জমি না পাওয়ায় ঠিকাদার কাজ শুরু করতে পারেননি। এ কারণে ফেরত যায় বরাদ্দের টাকা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেহেরুন্নেছা বলেন, ভবন নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়ার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে সরকারি জমির লিজ বাতিল করে স্কুল ভবন নির্মাণের আবেদন করেছিলেন স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক। এতে দখলকারীরা উল্টো প্রধান শিক্ষককে ধমকায়। এ ছাড়া বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের (বিএম) ছয় একর সম্পত্তি বেহাত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দখল হওয়া জমি উদ্ধারে কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

রংপুর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক নজরুল মৃধা জানান, পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলায় বিদ্যালয়ের জমি দখল করে গাছের চারা রোপণ, অবকাঠামো নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলার চকবর খোদা গ্রামে খাসতালুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৩৮ সালে স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানীয় ১১ জন ব্যক্তি ১ একর ৫৯ শতক জমি প্রতিষ্ঠানে দান করেন। দানকারী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নভেম্বরে স্কুল মাঠে ৩৮ শতক জমি দখল নিয়ে চারাগাছ রোপণ করেছেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হক উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে মিঠাপুকুর উপজেলার জানকীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে ৩০ বছর আগে স্থানীয় রুহুল আমিন নামে এক প্রভাবশালী বসতবাড়ি ও পুকুর খনন করেছেন। এখনো জমি দখলমুক্ত হয়নি। এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের জমি দখলমুক্ত করতে শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়সহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি ৩০ বছর আগে বসতবাড়ি নির্মাণ করেছি। স্কুলের সঙ্গে যে ঝামেলা ছিল তা মিটে গেছে।’ তবে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এখনো সমস্যার সমাধান হয়নি।’

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রোমান চৌধুরী সুমন জানান, জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমিও ছাড় পাচ্ছে না দখলের হাত থেকে। এমনকি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধেও স্কুলের জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কয়েক বছরের ব্যবধানে নারায়ণগঞ্জে বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলের জমি বেদখল হয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই সব স্কুলের জমি উদ্ধারের দাবিতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন আন্দোলন করলেও দখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার হয়নি। চলতি বছর ২৭ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাইকপাড়া এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ভেঙে ২০ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ ওঠে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ফিরে যায়।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি সৈয়দ বয়তুল আলী জানান, কুলাউড়া উপজেলার রাতগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব রাতগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে বসতভিটা ও রাস্তা তৈরি করেছেন সেখানকার লোকজন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় সন্তুস কুমার দেব, শীবন কুমার দেব, শিথিল কুমার দেব বিদ্যালয়ের দক্ষিণ অংশের জায়গা দখল করে বসতভিটা ও রাস্তা তৈরি করেছেন। তবে শিথিল কুমার দেব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা আমাদের বাপ-দাদার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জায়গায় বসতভিটা করেছি।’ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুর রহমান কলেন, খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দিনাজপুর প্রতিনিধি রিয়াজুল ইসলাম জানান, জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার বেলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি প্রায় ২৮ বছর ধরে বেদখল হয়ে রয়েছে। বেদখল হওয়ায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠটি ছোট হয়ে গেছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, স্কুলটির দুই দিকে পাকা সড়ক। পাকা সড়কের পাশে হওয়ায় বাউন্ডারি দেয়াল নেই। এতে আগে থেকেই ধীরে ধীরে কতিপয় ব্যক্তি স্কুলের জায়গা দখল করে বিভিন্ন পাকা দোকান গড়ে তুলে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে স্কুলের পক্ষ থেকে বারবার ১৫ দখলকারী ব্যক্তির নামের তালিকাসহ জমি উদ্ধারে চিরিরবন্দর উপজেলা শিক্ষা অফিসকে জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে বেলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাহবুবা আখতার জাহান জানান, দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলের জায়গা দখল হয়ে আছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি মোর্শেদুর রহমান জানান, স্কুলের জমির পরিমাণ ৮৫ শতক। এর মধ্যে ২৬ শতক জমি বেদখল হয়ে আছে। বরগুনা প্রতিনিধি হাসানুর রহমান ঝন্টু জানান, জেলার আমতলী উপজেলার চরকগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪০ শতাংশ জমি বেদখল হয়ে আছে। এ ছাড়া আমতলী এ কে এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪২ শতাংশ জমি বর্তমানে বেদখল হয়ে আছে। এ ছাড়া বেতাগী উপজেলার বেতাগী পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রানীপুর গড়িয়াবুনিয়া এছাকিয়া আলিম মাদরাসা এবং বেতাগী সরকারি ডিগ্রি কলেজের জমি বেদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরগুনার পাথরঘাটার মধ্য বাইনচটকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেতাগী উপজেলার উত্তর ঝোপখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, করুণা মোকামিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ একাধিক বিদ্যালয়ের জমি বেদখল হয়ে আছে।

ফেনী প্রতিনিধি জমির বেগ জানান, জেলার ছয় উপজেলায় মোট ৫৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬২টি বিদ্যালয়ের ভূমির অনেকাংশই বেদখল হয়ে গেছে। বেদখলে থাকা স্কুলগুলোর মধ্যে রয়েছে- সদর উপজেলার রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্যম চাড়িপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর ধলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাগনভূঞা উপজেলার কেরানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুজাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনাগাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া, বাউরমুখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফেনী জেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মোছাদ্দেক হোসেন জানান, বেদখল জমি আয়ত্তে আনতে অনেক মামলা চলমান রয়েছে।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনি জানান, তালা উপজেলার মাগুরা পীরশাহ জয়নুদ্দীন দাখিল মাদরাসার অর্ধ কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া উত্তোলন করে আসছে একটি কুচক্রী মহল। দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠানটি তাদের উচ্ছেদ করতে পারছে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর