শিরোনাম
সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বিজয় শোভাযাত্রায় খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিজয় শোভাযাত্রায় খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি বিএনপির

বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে বিএনপি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকের বিজয় শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয়ের যাত্রা শুরু হলো। এ সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব ইনশাআল্লাহ।

মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।                  

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য শেষ বিন্দু রক্ত দিয়ে সংগ্রাম করব। তিনি বলেন, লাখো মানুষের অংশগ্রহণে আজকের এই  শোভাযাত্রা প্রমাণ করেছে দেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। দেশের মানুষ দেখতে চায়, অবিলম্বে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হোক।

গতকাল বেলা ২টায় শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১০টার পর থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে আসতে শুরু করেন। দুপুর ১২টায় নয়াপল্টনের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরেরপুল বাজার পর্যন্ত সড়ক কানায় কানায় ভরে যায় হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থকে। চারদিকে নানা রঙের প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার বহন করা নেতা-কর্মীদের পদচারণে বিএনপির বিজয়  শোভাযাত্রায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ধ্বনিত হয়। পুরো মিছিলজুড়েই খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে মুহুর্মুহু স্লোগান ছিল। দীর্ঘ সড়কে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা এবং ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে এলে নয়াপল্টন এলাকা জনসমুদ্রে রূপ নেয়। তাদের হাতে ছিল লাল-সবুজের জাতীয় ও দলীয় পতাকা এবং জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড। বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছিলেন পুরো মিছিলজুড়ে লাল-সবুজসহ নানা রঙের ক্যাপ ও টি-শার্ট পরিধান করে, অনেকে মাথায় ব্যাজ ধারণ করেন। ঢাকঢোল ও বাঁশি বাজিয়ে বাদ্যের তালে তালে নেচে-গেয়ে পরিবেশকে উৎসবমুখর করে  তোলেন। কোনো কোনো নেতা-কর্মীর গায়ে ছিল কালো কাপড় এবং গলায় ছিল প্রতীকী শিকল। শোভাযাত্রার সামনের দিকে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বড় বড় ছবি প্রদর্শন করা হয়। স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেওয়া বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার প্রতীকী অবস্থান তুলে ধরে রামপুরা থানা বিএনপির এক নারী নেত্রী অংশ নেন এতে। বেলা আড়াইটায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এ শোভাযাত্রা  শুরু করে কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর মোড় ঘুরে ফকিরেরপুল মোড় দিয়ে আবারও দলীয় কার্যালয়ে সামনে এসে শেষ হয়। তবে কর্মসূচির শেষ দিকে যুবদল, ছাত্রদল অনুসারীদের মধ্যে দুু-একবার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিএনপির এই বিজয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে নগরীতে মারাত্মক যানজটের সৃষ্টি হয়। নয়াপল্টনের সড়কের যানবাহন চলাচল এবং সড়কের দুই পাশের দোকানপাট বন্ধ ছিল। শোভাযাত্রা শেষে ট্রাকের ওপর নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে সমাপনী বক্তৃতা করেন বিএনপি মহাসচিব। এর আগে দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বক্তব্য রাখেন। বর্ণাঢ্য এই বিজয় মিছিলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ  হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দল, ওলামা দল, জাসাস, মুক্তিযোদ্ধা দল, মৎস্যজীবী দলসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকের শোভাযাত্রা প্রমাণ করেছে দেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়, কথা বলতে চায়, মুক্তভাবে স্বাধীনতা ভোগ করতে চায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর