মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

অভিজিতের খুনি ধরতে যুক্তরাষ্ট্রের পুরস্কার

জিয়া ও আকরামের বিষয়ে তথ্য দিলে দেওয়া হবে ৫০ লাখ ডলার

প্রতিদিন ডেস্ক

অভিজিতের খুনি ধরতে যুক্তরাষ্ট্রের পুরস্কার

ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বলে অভিযুক্ত মেজর জিয়া নামে পরিচিত সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনের ব্যাপারে তথ্য চেয়ে ৫০ লাখ ডলার পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। এ তথ্য জানিয়ে প্রকাশ করা একটি পোস্টারে বলা হয়, ‘২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বইমেলা থেকে বেরিয়ে আসার সময় আল-কায়েদাভিত্তিক সন্ত্রাসীরা মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ রায়কে হত্যা এবং তার স্ত্রী রাফিদা বন্যা আহমেদকে আহত করে। সূত্র : বিবিসি বাংলা।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস কর্মসূচির এক টুইট বার্তায় জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনের ব্যাপারে কোনো তথ্য জানা থাকলে তা টেক্সট করে পাঠাতে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়- ওই হামলায় তাদের ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের একটি আদালত ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দিয়েছে। ওই আসামির মধ্যে দুজন সৈয়দ জিয়াউল হক (ওরফে মেজর জিয়া) ও আকরাম হোসেনের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছিল এবং তারা এখনো পলাতক রয়েছেন।

ওই জিয়া, আকরাম বা হামলার সঙ্গে জড়িত অন্য কারও সম্পর্কে আপনার কাছে কোনো তথ্য থাকলে নিচের নম্বরটি ব্যবহার করে সিগন্যাল, টেলিগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আমাদের কাছে পাঠান। সে ক্ষেত্রে আপনিও পুরস্কার পেতে পারেন- বলা হয় পোস্টারটিতে। এতে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে যা হলো : +১-২০২-৭০২-৭৮৪৩ এবং @RFJ_USA নামে একটি টুইটার হ্যান্ডলও দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, পদার্থবিদ অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে অভিজিৎ রায় থাকতেন যুক্তরাষ্ট্রে। বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি মুক্তমনা ব্লগ সাইট পরিচালনা করতেন। জঙ্গিদের হুমকির মুখেও ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নিয়ে তিনি অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশ নিতে দেশে এসেছিলেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসির সামনে হামলার শিকার হন অভিজিৎ। জঙ্গিদের চাপাতির আঘাতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন; বন্যার হাতের আঙুল কাটা পড়ে। সে ঘটনা পুরো বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দেয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনার ছয় বছরের মাথায় চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি অভিজিৎ হত্যার রায় দেয় আদালত।

রায়ে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক ওরফে জিয়াসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় আদালত। তারা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে তদন্তকারীরা জানান।

২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে সরকার উৎখাতে ধর্মান্ধ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার একটি অভ্যুত্থান পরিকল্পনা নস্যাৎ করার খবর দেয়। অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের নেতা হিসেবে জানানো হয় মেজর জিয়ার নাম।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে গত রাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, তিনি বিষয়টি এখনো দেখেননি। দেখে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাবেন।

 

সর্বশেষ খবর