ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, শুধু সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন-ইসি গঠন পদ্ধতিতে এর আগে কাক্সিক্ষত ফল আসেনি। তাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্দলীয়, সৎ ও গ্রহণযোগ্য কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের বিকল্প নেই। গতকাল সংস্থাটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদপূর্তির আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি যে সংলাপ শুরু করেছেন তা গুরুত্বপূর্ণ, তবে যথেষ্ট নয়।’
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, গণমাধ্যমসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে আমরা জেনেছি নতুন ইসি গঠনে গতকাল রাষ্ট্রপতি যে সংলাপ শুরু করেছেন তা নিয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের তেমন কোনো তাগিদ বা উচ্ছ¡ স নেই। দলগুলোর নীতিনির্ধারকরাও মনে করছেন না যে এ সংলাপে ইসি গঠনে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব কিংবা নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন বিষয়ে ইতিবাচক আলাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এ ধরনের সংলাপের মাধ্যমে সার্চ কমিটি করে গঠিত ইসি জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমরা মনে করি এ সংলাপের ফল যা-ই হোক, রাষ্ট্রপতির প্রতি দেশের আপামর জনগণের প্রত্যাশা বিবেচনায় নিয়ে তিনি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ইসি গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন। ইসি গঠনে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অবিলম্বে আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ২০১২ ও ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের পর গঠিত দুটি নির্বাচন কমিশনই বিতর্কিত ও সমালোচিত হয়েছে। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হলেও তা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
