মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

মিনিকেট-নাজিরশাইল নামে ধান নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

মিনিকেট-নাজিরশাইল নামে ধান নেই

মোটা চাল কেটে মিনিকেট চাল বানানো হয় বলে মানুষের মধ্যে যে ধারণা রয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, মিনিকেট ও নাজিরশাইল নামে কোনো ধানই নেই। আন্তর্জাতিক নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড উপলক্ষে গতকাল সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। চাল কেটে বা ছেঁটে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল নামে বিক্রি করছে যারা; তাদের তালিকা চেয়েছে হাই কোর্ট- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অরিজিনালি মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই। সরু মিনিকেটের ক্ষেত্রে জিরাশাইল, শম্পাকাটারি এই দুই রকমের ধানটাই বেশি। এমনকি নাজিরশাইল নামে কোনো ধান নেই। সাদা চকচকে চালে কোনো পুষ্টি নেই। লাল চাল খান। চাল কেটে ছোট করা হয় এটা ঠিক নয়। আপনাকে মিলে যেতে হবে, পর্যবেক্ষণ করতে হবে। চাল কাটতে কাটতে কিন্তু ছোট করে না। ছোট করলে তার ওয়েট লস হবে, ওয়েট লস হলে তার পোষাবে না। তারা পলিশ করে। পলিশে ওজন কমে না। মোটা চাল কেটে মিনিকেট বানায় এটা কিন্তু ঠিক নয়। আমাদের সবার একটা ভুল ধারণা যে চাল কেটে ছোট করে। ঘটনা কিন্তু তা নয়।’

এর আগে খাদ্য সচিব নাজমানারা খানুম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে একটা রিসার্চ ওয়ার্ক করেছি। এটা সত্যি বাজারে মিনিকেট নামে চাল বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু মিনিকেট নামে ধান নেই বললেই চলে। কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে এক সময় মিনিকেটে করে বিদেশ থেকে ধান আসছিল, তখন সেই কিটের নাম অনুসারে গ্রামের মানুষ নাম দিয়েছে মিনিকেট। এখন ব্রি-২৮ ও ২৯ ধান ও মোটা ধানকে মিনিকেট বলছে। আমরা একটা ছাঁটাই নীতিমালা করছি। ওই রিসার্চের ফলাফলকেও বিভিন্ন পর্যায়ে পাঠিয়েছি। ধান যেটাই হোক নাম দিচ্ছে মিনিকেট, এটা তাদের ব্র্যান্ড নেম। আমরা এখন চেষ্টা করব, ব্র্যান্ডিংটা আপনি যে নামেই করুন, মূল ধানের সোর্স (জাত) লিখতে হবে। সেই কাজটি আমরা করছি। আমরা চাচ্ছি ধানের জাতের নাম যেন বস্তায় লিখে দেয়। মিনিকেট ব্র্যান্ড তারা ব্যবহার করে করুক। এ ছাড়া আমরা ধান ছাঁটাই নীতিমালা করছি।’ খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বেসরকারিভাবে চাল আমদানি করা হয় কারণ ব্যবসায়ীরা আমাদের বেকায়দায় ফেলার মতো কোনো পরিস্থিতি যাতে তৈরি করতে না পারে। আমরা ১৭ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিলাম, কিন্তু চাল এসেছে ২ লাখ ৯৪ হাজার টনের মতো।

আমরা সরু পোলাও চাল রপ্তানিও করি। আমরা কিন্তু সত্যি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দুর্যোগ ও নিরাপত্তার কারণে আমরা কিছু আনি, এটা দোষের কিছু নয়। ব্যবসায়ীরা চাল আনেনি, কারণ তারা আনলে লাভ করতে পারবে না। এর মানে চাল দেশেই আছে। যে চাল আনি সেটা এক্সট্রা, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আনা হয়। কিন্তু আমরা এটা এমনভাবে করি যাতে কৃষকের ক্ষতি না হয়।’

সর্বশেষ খবর