মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বিনা ভোটে দেড় হাজার জনপ্রতিনিধি

পাঁচ ধাপের ইউপি নির্বাচন

গোলাম রাব্বানী

পাঁচ ধাপে ৩ হাজার ৭৪৪ ইউনিয়ন পরিষদে ১ হাজার ৫৫৫ জনপ্রতিনিধি বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথম ধাপে ১৪১, দ্বিতীয় ধাপে ৩৫৭, তৃতীয় ধাপে ৫৬৯, চতুর্থ ধাপে ২৯৫ আর পঞ্চম ধাপে ১৯৩ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ৩৫৩, সংরক্ষিত সদস্য ৩৫৫ ও সাধারণ সদস্য ৮৪৭ জন রয়েছেন। নির্বাচনী তথ্য বিশ্লেষণে এ পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে। প্রথম ধাপে ৩৬৫, দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩ আর তৃতীয় ধাপে ৯৯২ ইউপিতে ভোট হয়েছে। এ ছাড়া ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ৮৪০ এবং পঞ্চম ধাপে ৭১৪ ইউপিতে ৫ জানুয়ারি ভোট হওয়ার কথা।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম দফায় ১৪১ জনপ্রতিনিধি বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত হন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ৭২, সংরক্ষিত সদস্য ছয় ও সাধারণ সদস্য ৬৩ জন। প্রথম ধাপে ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর দুই দফায় এ নির্বাচন হয়। দ্বিতীয় ধাপে ৩৫৭ জনপ্রতিনিধি বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত হন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ৮১, সংরক্ষিত সদস্য ৭৩ এবং সাধারণ সদস্য ২০৩ জন। ১১ নভেম্বর এ ধাপের ভোট হয়।

তৃতীয় ধাপে ৫৬৯ জনপ্রতিনিধি বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত হন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ১০০, সংরক্ষিত সদস্য ১৩২ এবং সাধারণ সদস্য ৩৩৭ জন। ২৮ নভেম্বর এ ধাপের ভোট হয়। তৃতীয় ধাপে ১ হাজার ৮ ইউপির তফসিল হলেও মামলা ও অন্যান্য জটিলতায় নির্বাচন স্থগিত হয় সাত ইউপির; নয় ইউপির বিভিন্ন কেন্দ্র স্থগিত রয়েছে। ফলে ১ হাজার ৮ ইউপির মধ্যে ইসি ৯৯২টির ফলাফল প্রকাশ করে। চতুর্থ ধাপে ২৯৫ জনপ্রতিনিধি বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত হন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ৪৮, সংরক্ষিত সদস্য ১১২ এবং সাধারণ সদস্য ১৩৫ জন। ২৬ ডিসেম্বর এ ধাপের ভোট হবে। এ ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ হাজার ৫২৯ জন। সংরক্ষিত সদস্য ৯ হাজার ৬২০ আর সাধারণ সদস্য প্রার্থী ৩১ হাজার ৫৮০ জন।

পঞ্চম ধাপে ৭১৪ ইউপিতে বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত হন ১৯৩ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ৫২, সংরক্ষিত সদস্য ৩২ এবং সাধারণ সদস্য রয়েছেন ১০৯ জন। এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ২০৭, সংরক্ষিত সদস্য ৭ হাজার ৮০৪ আর সাধারণ সদস্য ২৪ হাজার ৮৪৬ জন প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন।

 

বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘কারসাজি ও প্রভাব খাটিয়ে বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা। কেননা তারা জনপ্রতিনিধি হতে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করছেন। আর বিনিয়োগের সুফল নিশ্চিত করতে প্রভাব খাটিয়ে প্রতিদ্ব›দ্বীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য করছেন। আবার অনেক সময় প্রতিদ্ব›দ্বীকে টাকা দিয়েও নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন। আসলে আমাদের রাজনীতি এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর