মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

দ্বিগুণ দামে অফিস ভাড়া নিচ্ছে এসবিএসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর দিলকুশার ইউনুস ট্রেড সেন্টারে অফিস স্থাপনের জন্য দ্বিগুণের বেশি দামে স্পেস ভাড়া নিচ্ছে সাউথবাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড (এসবিএসি)। এতে ব্যাংকটির বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় হবে প্রতি মাসে। যা ব্যাংকটির পরিচালন ব্যয় বাড়িয়ে দেবে অনেকাংশে। এমনকি বছর শেষে পরিচালন মুনাফাতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসবিএসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, দিলকুশা সানমুন টাওয়ার থেকে ইউনুস ট্রেড সেন্টারের দূরত্ব পায়ে হেঁটে গেলে ২০ সেকেন্ডের। ভবন দুটির সুযোগ-সুবিধাও প্রায় একই রকম। তবে সানমুন টাওয়ারে ভাড়াকৃত স্পেসের সঙ্গে ১৪টি গাড়ির ফ্রি পার্কিং সুবিধা রয়েছে। সানমুন টাওয়ারে যেখানে প্রতি বর্গফুট ভাড়া করা যেত ৫০ টাকায় সেখানে ইউনুস সেন্টারে প্রতি বর্গফুট ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১১০ টাকায়। আবার অগ্রিম হিসেবেও গুনতে হবে ১২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। অথচ সানমুন টাওয়ারের বেলায় কোনো প্রকার অগ্রিম দিতে হতো না। এতে ইউনুস সেন্টারে অফিস স্পেস ভাড়া নিলে এসবিএসির প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকের পরিচালন ব্যয় বেড়ে যাবে। যা বছর শেষে ব্যাংকের প্রফিটের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঠিক কী কারণে দ্বিগুণ বেশি দাম দিয়ে অফিস ভাড়া নিচ্ছে তার কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পায়নি এসবিএসির ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এসবিএসি ও ইউনুস ট্রেড সেন্টার দুই পক্ষের ভাড়া সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া কাগজপত্র ঘেঁটে জানা গেছে, এসবিএসির একটি পক্ষ কোনো কারণ ছাড়াই বেশি দামে অফিস স্পেস ভাড়া করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। অথচ ইউনুস ট্রেড সেন্টারের অদূরেই সানমুন টাওয়ারে একই পরিমাণ একই সুযোগ-সুবিধা সংবলিত স্পেস ভাড়া নেওয়া যেত অর্ধেক মূল্যে। ইউনুস ট্রেড সেন্টারে অফিস স্পেস ভাড়া নিলে এসবিএসি কর্তৃপক্ষকে প্রতি মাসে ৫২ লাখ ২৬ হাজার টাকারও বেশি ভাড়া গুনতে হবে। অথচ সানমুন টাওয়ারে সমপরিমাণ স্পেস ভাড়া নিতে প্রতি মাসে খরচ হবে মাত্র ২৭ লাখ টাকার মতো। এতে এসবিএসি কর্তৃপক্ষকে প্রতি বছর অন্তত ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা বেশি গুনতে হবে। আবার দুই বছর পর পর ১০ শতাংশ হারে ভাড়া বৃদ্ধি পাবে। এতে চুক্তি অনুযায়ী ৮ বছরে অন্তত ২০ কোটি টাকা অপচয় হবে এসবিএসির। যা ব্যাংকটির পরিচালন ব্যয় বাড়িয়ে দেবে এবং সার্বিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সর্বশেষ ব্যাংকটির বার্ষিক প্রফিট কমে আসবে। এতে ব্যাংকটির সার্বিক কার্যক্রমেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করে সংশ্লিষ্টরা।

সর্বশেষ খবর