বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
পেটে কাঁচি রেখে সেলাই

দায়সারা তদন্ত রোগীর পরিবারের প্রত্যাখ্যান

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক তরুণীর পেটে অস্ত্রোপচারের পরে পেটের মধ্যেই কাঁচি রেখে সেলাই করা এবং ৬৪৩ দিন পর বের করার ঘটনার তদন্তে গঠিত কমিটি প্রতিবেদন  জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে এ ঘটনার জন্য কে দায়ী তা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়নি কিংবা কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশও করা হয়নি। বিদেশি কয়েকটি নিবন্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশে এ জাতীয় ঘটনা আগেও ঘটেছে। ওই প্রতিবেদনে  অস্ত্রোপচারের সময় অধিক সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমানের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা    গ্রহণের সুপারিশ না থাকা এবং চিকিৎসকদের দায়ী না করায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন তরুণীর পরিবার। রিপোর্টটিতে চিকিৎসকদের বাঁচানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা তদন্ত কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন। তদন্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুল হাসান। অপর দুই সদস্য হলেন- গাইনি বিভাগের অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা ও সার্জারি বিভাগের মো. কামরুজ্জামন।

পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, তদন্ত কমিটি কার গাফিলতিতে পেটে কাঁচি রাখার ঘটনাটি ঘটেছে তা শনাক্ত করতে পারেনি। পাশাপাশি ওই অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যুক্ত কারও ব্যাপারে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করেনি। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে মনিরা খাতুনের পেটে অস্ত্রোপচার করা হয়। ওই সময় একটি কাঁচি মনিরার পেটে রেখে সেলাই করে দেন চিকিৎসক। প্রায় দুই বছর পর পুনরায় অস্ত্রপচার করে তার পেট থেকে কাঁচিটি বের করা হয়।

সর্বশেষ খবর