মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

লঞ্চ মালিক গ্রেফতার

এমভি অভিযান-১০ এ আগুনে আরও এক লাশ উদ্ধার

প্রতিদিন ডেস্ক

লঞ্চ মালিক গ্রেফতার

হামজালাল শেখ

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় লঞ্চটির মালিক হামজালাল শেখকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। আদালতের নির্দেশে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় লঞ্চ মালিকসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা গতকাল বরগুনা থানায় রুজু হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার চতুর্থ দিনে গতকাল বিষখালী নদী থেকে হাকিম শরীফ (৪৫) নামে এক যাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অগ্নিদগ্ধরা শঙ্কামুক্ত হওয়ায় বার্ন বিশেষজ্ঞরা ঢাকায় ফিরে এসেছেন।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র?্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে অগ্নিদুর্ঘটনায় নৌ আদালতে করা মামলায় লঞ্চের চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে রবিবার            দুপুরে নৌপরিবহন আদালতের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ জয়নাব বেগম গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বরগুনা প্রতিনিধি জানান, ২৬ ডিসেম্বর বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলি ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসীর বাদী হয়ে লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে যে মামলা করেছিলেন আদালতের নির্দেশে গতকাল তা বরগুনা থানায় এফআইআরভুক্ত হয়েছে। এদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় বিষখালী নদীর রাজাপুর থেকে নিখোঁজ লঞ্চযাত্রী হাকিম শরীফের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। হাকিম শরীফ ঢাকায় এসএমসি ওরস্যালাইনের পরিবেশক ছিলেন। মেয়ের বিয়ের বিষয়ে পারিবারিক পরামর্শের জন্য ঢাকা থেকে স্ত্রী ও ছোট ছেলেকে নিয়ে বরগুনা আসছিলেন। তবে স্ত্রী পাখি বেগম ও শিশু সন্তান নিখোঁজ রয়েছেন। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিখোঁজ যাত্রীর স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল জানান, শেরেবাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন দগ্ধরা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন ঢাকার বার্ন বিশেষজ্ঞরা। আইসিইউতে থাকা তিনজনকে সার্জারি ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ তিনজনসহ সার্জারি বিভাগে ৩৩ ও অর্থোপেডিক বিভাগে দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চিকিৎসকরা। ঢাকার বার্ন বিশেষজ্ঞ ডা. নুরুল আলম জানান, শেবাচিমে চিকিৎসাধীন দগ্ধ সবাই এখন শঙ্কামুক্ত। আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে তারা আশা করেন। এ কারণে ঢাকায় ফিরে যাচ্ছেন তারা। শেরেবাংলা মেডিকেলের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, লঞ্চে দগ্ধরা ঢাকার বার্ন বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ক্রমেই তাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।

এ কারণে বিশেষজ্ঞরা ঢাকায় ফিরে গেছেন। এখন শেবাচিমের চিকিৎসরাই পরবর্তী চিকিৎসা দিতে পারবেন। সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দগ্ধদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগিদগ্ধ মোট ৮১ জনকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। বার্ন ইউনিট না থাকায় সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল তাদের। পরে সরকারের নির্দেশে ঢাকার সাতজন বার্ন বিশেষজ্ঞ বরিশাল আসেন তাদের চিকিৎসায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর