বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নির্বাচনকালীন সরকার চাইল বিএনএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের ষষ্ঠ দিনে তিন দফা প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ। নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠনে সায় দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছে দলটি। আর রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্তদের নির্বাচন কমিশন থেকে প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট।

গতকাল বিকালে ও সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে পৃথক সংলাপ শেষে বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন সংগঠন দুটির নেতারা। বিকালে প্রথমে বঙ্গভবনে আসে বিএনএফ। সংলাপে অংশ নেন বিএনএফের প্রেসিডেন্ট এস এম আবুল কালাম আজাদ, সেক্রেটারি জেনারেল নজরুল ইসলাম আল মারুফ, ভাইস চেয়ারম্যান এম কামরুল ইসলাম, আতিকুর রহমান নাজিম ও মমতাজ সুলতানা আহমেদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শফিউল্লাহ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মাহবুব হাসান আজাদ। সংলাপ শেষে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে দলটির প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা আমাদের দল থেকে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে আইন প্রণয়ন, সার্চ কমিটি গঠন এবং কমিশন গঠনের জন্য পাঁচটি নাম প্রস্তাব করেছি। সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা প্রথম প্রস্তাবে বলেছি রাষ্ট্রপতি বিদ্যমান পদ্ধতি অনুসরণ করে সার্চ কমিটি বা অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, প্রস্তাবে সার্চ কমিটিতে পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন অধ্যাপক, একজন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, একজন সেনা কর্মকর্তা এবং একজন সাবেক আইজিপির নাম রয়েছে। আর তৃতীয় প্রস্তাবে বলেছি নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অর্থবহ করতে সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সমন্বয়ে প্রধানমন্ত্রী সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে পারেন।

রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্তদের কমিশন থেকে প্রত্যাহার চায় ইসলামী ঐক্যজোট : সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে বঙ্গভবনের বাইরে আসেন ইসলামী ঐক্যজোটের নেতারা। জোটের চেয়ারম্যান আবুল হাসানাত আমিনীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের অন্যরা হলেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ মজুমদার, মুফতি তৈয়্যেব হোসাইন, মাওলানা ফইলুর রহমান, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন। জোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে আমরা সাংবিধানিক পদে থাকা, গ্রহণযোগ্য, নির্ভরযোগ্য ও ইমানদার ব্যক্তিদের মধ্য থেকে অনুসন্ধান কমিটির সদস্য করার কথা বলেছি। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, গ্রহণযোগ্য ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি স্থায়ী আইন করা আবশ্যক। সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রয়োজনে স্থায়ী আইন করাসহ রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচন কমিশন থেকে প্রত্যাহার করারও প্রস্তাব করেছি।

সর্বশেষ খবর