শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

টিকায় নতুন বছরে নতুন পরিকল্পনা

মাসে ৩ কোটি ডোজের টার্গেট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রান্তিক পর্যায়ে করোনা প্রতিরোধী টিকাদান বাড়াতে নতুন বছরে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডের ইপিআই কেন্দ্রে দেওয়া হবে টিকা। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৭ কোটি ২৯ লাখ মানুষ করোনা প্রতিরোধী টিকা দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেছেন, পয়লা জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী সারা দেশের ওয়ার্ড পর্যায়ে শুরু হচ্ছে বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৩ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ওয়ার্ডের ভিতরে ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে এই টিকা ক্যাম্পেইন চালানো হবে।

গত বুধবার এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, নতুন বছরে প্রতি মাসেই আমরা অন্তত ৪ কোটি টিকা দেওয়ার জন্য কাজ করছি। এ জন্য আগামী মাস থেকেই আমরা দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি। এতে আশা করা যায়, আগামী মে-জুনে মাসের মধ্যেই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হব।

আমরা ইতিমধ্যেই ৩১ কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা করেছি। এ টিকা থেকে প্রতি মাসেই প্রয়োজনীয় পরিমাণে টিকা আমাদের হাতে চলে আসছে। এর মধ্যেই ৭ কোটি প্রথম ডোজ, ৫ কোটি দ্বিতীয় ডোজসহ মোট ১২ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে বুস্টার ডোজসহ মোট ২৮ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োজন হবে। কাজেই বুস্টার ডোজসহ আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেও আমাদের হাতে আরও ৩ কোটি ডোজ টিকা থাকবে।

এ বছরের ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকা কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। গত বুধবার পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৭ কোটি ৩১ লাখ মানুষ এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫ কোটি ১১ লাখ মানুষ। এ পর্যন্ত ১২-১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন প্রায় ৩৪ লাখ এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৪৫ হাজার। কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছে ১ কোটি ৬৭ লাখ মানুষ এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছে ৮০ লাখের বেশি মানুষ।

সর্বশেষ খবর