রবিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

সার্চ কমিটি করে কোনো লাভ হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

সার্চ কমিটি করে কোনো লাভ হবে না

ড. আকবর আলি খান

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে তা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়েই নির্ধারিত হবে। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি করে কোনো লাভ হবে না। সরকারের পছন্দের তালিকাভুক্ত লোক দিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। বর্তমান কে এম নূরুল হুদা কমিশন আইনের সঠিক প্রয়োগ করে নাগরিক অধিকার সুরক্ষা ও ভালো নির্বাচন করতে পারত, যা বাস্তবে হয়নি।

গতকাল রাজধানীর কারওরান বাজারে বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন করপোরেশন-বিএফডিসিতে ‘সুশাসন নিশ্চিতকরণে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা’ নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় সরকারি তিতুমীর কলেজকে পরাজিত করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক সবুজ ইউনুস, সাংবাদিক সোমা ইসলাম ও সাংবাদিক কাজী জাবেল। ছায়া সংসদে বিতর্ক অনুষ্ঠানে আকবর আলি খান বলেন, বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে স্থানীয় সরকার নেই। মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণেই স্থানীয় সরকার চলছে। স্থানীয় সরকারের আর্থিক ক্ষমতা নেই। এখানে জনপ্রতিনিধি ও স্টাফদের বেতন কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ থেকে আসে। বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় সরকার এতিম নয়, বরং তা এত বেশি ক্ষমতাশালী, যা পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। আবার স্থানীয় সরকারে এমপিদের উপদেষ্টা হওয়ার নিয়ম একমাত্র বাংলাদেশেই আছে। স্থানীয় সরকারের অনিয়ম ও অভিযোগের তদন্ত করে থাকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। অথচ এ ধরনের তদন্তের জন্য স্বাধীন কমিশন থাকা উচিত। অতীতে একটি কমিশন থাকলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন করতে হলে বর্তমান আইন পরিবর্তন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সুশাসন নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা জোরদার করতে হবে। সে ক্ষেত্রে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিদায়ী নূরুল হুদা কমিশন তাদের সময়কালে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারেনি। তাই আগামী নির্বাচন কমিশন গঠনে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে সব রাজনৈতিক দলের মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে আরও বেশি বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। তবে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে হয়, এ সংলাপ নিতান্তই আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির এই সংলাপে বিএনপি, সিপিবি, বাসদসহ অন্যান্য দল অংশগ্রহণ না করায় সংলাপের গুরুত্ব হারাবে।

সর্বশেষ খবর