রবিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

সংলাপে কামালকে না যেতে অনুরোধ মন্টুর যাবে না সিপিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে ড. কামাল হোসেনকে অংশ না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে গণফোরামের একাংশ। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অনুরোধ জানানো হয়। গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টুর সঙ্গে ছিলেন আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, মহসিন রশিদ। নতুন ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন। নিবন্ধিত দল হিসেবে গণফোরামও সেই সংলাপের আমন্ত্রণ পেয়েছে। আজ বঙ্গভবনে যেতে চিঠি দেওয়া হয়েছে কামালকে।

দলটিতে ভাঙনের ফলে মন্টুর নেতৃত্বাধীন অংশের নিবন্ধন নেই। মন্টু বলেন, ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। আমরা তাকে এই সংলাপে না যেতে অনুরোধ করেছি। আমরা তার বরাবর একটি চিঠিও দিয়েছি। সেই চিঠিতে গণফোরামের ঐতিহ্য এবং সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে ড. কামাল হোসেনকে এবং গণফোরামের পক্ষে এই সংলাপে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানিয়েছি। চিঠিতে কামাল হোসেনকে গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সম্বোধন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে চিঠিটি পড়ে শোনান গণফোরামের এই অংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে সুব্রত চৌধুরী বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংলাপে তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে গণফোরাম দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, বর্তমান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে চলমান সংলাপ একটি তামাশা মাত্র। যার মাধ্যমে কোনো কাক্সিক্ষত নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব নয়। গণফোরাম মনে করে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের জন্য শুধু শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করলেই চলবে না, এর জন্য অপরিহার্য হলো জাতীয় ঐকমত্যের সরকার। সেই সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটাধিকারসহ জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

সংলাপে যাবে না সিপিবি : জোটসঙ্গী দল বাসদের পর সিপিবিও জানাল, ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাবে না। না যাওয়ার ব্যাখ্যায় বাম দলটি বলেছে, গত দুবার এই সংলাপে অংশ নেওয়ার পর তাদের ‘নতুন কিছু বলার নেই’ বলে এই সিদ্ধান্ত। গতকাল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংলাপে অংশগ্রহণের বিষয়ে অপারগতা জানিয়ে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, সিপিবি নির্বাচনের আমূল সংস্কারের জন্য সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বসহ ৫৩টি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের সুপারিশমালা ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে আপনার কাছে প্রদান করেছিল। এই অবস্থায় হুবহু একই আলোচ্য সূচিতে ও একই প্রকরণের আরেকটি সংলাপে যোগ দিয়ে সিপিবির নতুন কোনো কথা বলার নেই। সে কারণে তাতে যোগদানের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি না।

 

সর্বশেষ খবর