রবিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে এক বছর ধরে গণধর্ষণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সুধারাম চরমটুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম মহতাপুর গ্রামে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। পুলিশ দাউদ নামে একজনকে গ্রেফতার করে গতকাল দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে।

ভিকটিম জানান, গত এক বছর ধরে ৯-১০ জন বিবাদী বিভিন্ন সময় আমাকে একা পেয়ে ঘরে ঢুকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে আসছে। প্রতিবারই তারা আমাকে হুমকি দিয়ে যায়- ‘এ ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে হত্যা করবে’। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’ সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘরে ঢুকে স্থানীয় জসিম (মেম্বার প্রার্থী), হাসান, হৃদয়, মুন্সীয়াসহ চারজন আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। পরে আমি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাবলুকে খুলে বলি। তিনি আমাকে থানায় পাঠান। ভিকটিম জানান, আমার স্বামী মহিউদ্দিন ঢাকায় চাকরি করে। এই সুযোগে আমাকে ঘরে একা পেয়ে এ ঘটনা ঘটায়। তারা আমাকে দীর্ঘদিন অত্যাচার, পাশবিক নির্যাতন ও পালাক্রমে ধর্ষণ করে আসছে। ভিকটিম আরও জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজন ছাড়াও আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বলেন, তারা হলো মেহরাজ, খোকন, দাউদসহ কয়েকজন। এর আগে ঘটনাটি স্থানীয় মেম্বার রিয়াজ ও মসজিদ কমিটির নেতা ফয়েজসহ কয়েকজনকে জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি মেম্বার রিয়াজ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, এ ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি। আমরা পরে শুনে চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি এবং চৌকিদার দিয়ে মেয়েকে থানায় পাঠিয়েছি। চরমটুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাবলু বলেন, ভিকটিম মহিলা আমার ইউপি অফিসে এসে ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি মহিলার বরাত দিয়ে বলেন, মহিলা বলেছেন- তাদের উপর্যুপরি ধর্ষণ আমি আর সহ্য করতে পারিনি। আমাকে তারা আওয়ামী লীগ নেতা নিশাত সেলিমের মতো হত্যার হুমকি দিয়ে বারবার নির্যাতন ও ধর্ষণ করছে। পরে আমি অসহায় মহিলাকে থানায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিই। সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং পুলিশ দাউদ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। মহিলার মেডিকেল পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে।

সর্বশেষ খবর