ওমিক্রন করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট। করোনার অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলোর চেয়ে ওমিক্রন অনেক বেশি সংক্রামক ও এর মিউটেশনের ক্ষমতাও অনেক গুণ বেশি। ফলে বিশ্বজুড়ে নতুন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ওমিক্রন। এরই মধ্যে বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট। ওমিক্রন আতঙ্কে ভুগছেন দেশের অধিকাংশ মানুষ। এমতাবস্থায় ওমিক্রন থেকে বাঁচার উপায় এবং প্রতিরোধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক, একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ। তিনি গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না। কিন্তু আমাদের কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সেগুলো যথাযথভাবে মেনে চললেই ওমিক্রনের সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব হবে।’ ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘ওমিক্রন দ্রুত সংক্রমনশীল ও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বের অনেক দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারতেও এর সংক্রমণের হার কম নয়। ওমিক্রন হতে বাঁচতে চাইলে এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে। জনগণকে সচেতন ও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পালন ও করোনার টিকা নেওয়াটাই এখন সবচেয়ে জরুরি। ঘরের বাইরে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরা, ঘন ঘন হাত ধোয়া, জনসমাগম ও জনসমাবেশ এড়িয়ে চলাটা খুবই জরুরি। পাশাপাশি যারা এখনো করোনার টিকা নেননি তাদের দ্রুত টিকা নিতে হবে। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তারা দ্রুত দ্বিতীয় ডোজ এবং যারা দুই ডোজই নিয়েছেন তারা বুস্টার ডোজ নেবেন। এ মুহূর্তে দেশে স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করতে পারাটাই জরুরি।’
এ মুহূর্তে লকডাউন বা বিধিনিষেধের প্রয়োজন আছে কি না-এমন প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষক বলেন, ‘ওমিক্রন নিয়ে পরিস্থিতি এখনো সিরিয়াস পর্যায়ে যায়নি। তবে সরকারের এ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটি প্রয়োজন মনে করলে সে বিষয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ দেবে। সরকার সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে।’