বুধবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ

মাথা ফাটল সম্পাদকের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ও সংঘর্ষের ঘটনার মধ্যে পালিত হয়েছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে পাঁচ দিনের কর্মসূচির প্রথম দিনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন কেক কাটা ও আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে সংগঠনটি। তবে শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে কর্মীদের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন স্বয়ং ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এ সময় তার মাথা ফেটে যায়। গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে এমন ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, র‌্যালিতে অংশ নিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা এবং ঢাকা কলেজসহ আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অপরাজেয় বাংলার সামনে আসতে শুরু করে। দুপুর সোয়া ২টার দিকে মঞ্চের সামনে অবস্থান করা নিয়ে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সূচনা হয়। এ সময় তারা হাতাহাতি, চেয়ার ও ইট ছোড়াছুড়ি শুরু করে। ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক পরিস্থিতি শান্ত করতে সেখানে গেলে লেখকের মাথায় ইটের আঘাত লাগে। পরে তাকে হেলমেট পরিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তিনি ছাড়াও অন্তত ২০ জন আহত হন। বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নিতে দেখা যায়। নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা দেরিতে বিকাল সাড়ে তিনটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে পৌনে ৪টায় অনুষ্ঠানস্থলে আসেন সম্পাদক লেখক। পরে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা লিয়াকত শিকদার, বদিউজ্জামান সোহাগ, সিদ্দিকী নাজমুল আলম, সাইফুজ্জামান সোহাগ, এসএম জাকির হোসেনসহ আরও অনেকে। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর শাখার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শোভাযাত্রার উদ্বোধন ঘোষণা করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। এ সময় তিনি বলেন, ছাত্রলীগ এখন একটি মানবিক সংগঠনে পরিণত হয়েছে। সব ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে ছাত্রলীগ যে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছিল, আমি আশা করব শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি শোষণমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে আগামীতেও সেই ভূমিকা রেখে যাবে।

পরে শাহবাগ মোড় থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়। এতে ব্যান্ডপার্টির সহযোগে জাতীয় পতাকা ও ছাত্রলীগের দলীয় পতাকা, বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন বহন করেন নেতা-কর্মীরা। র‌্যালিটি মৎস্যভবন, কাকরাইল, পল্টন মোড় হয়ে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে, সকাল সাতটার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়।

সর্বশেষ খবর