বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

সাগরে মিলেছে মিথেন গ্যাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানে মিথেন গ্যাসের (গ্যাস হাইড্রেট) খোঁজ পাওয়ার তথ্য দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের সহায়তায় গত দুই বছরে বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চলে গ্যাস হাইড্রেট (মিথেন গ্যাস) ও শৈবালের সম্ভাবনা, উপস্থিতি, প্রকৃতি ও মজুদ নির্ণয়ের জন্য দুটি গবেষণা পরিচালিত হয়। ওই গবেষণা থেকে গ্যাস হাইড্রেটের উপস্থিতি এবং বিভিন্ন প্রজাতির শৈবাল ও মাছের সন্ধান পাওয়া গেছে। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘গ্যাস হাইড্রেট ও সামুদ্রিক জেনেটিক সম্পদের ওপর গবেষণার ফলাফল’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানে যতটুকু এলাকা জরিপ করেছি তাতে ধারণা করছি ন্যূনতম ১৭ থেকে ১০৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট (টিসিএফ) গ্যাস হাইড্রেট মজুদ রয়েছে সেখানে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর ২৮ হাজার কোটি টাকার কাঁচামাল আমদানি করি। এখানে বিনিয়োগ করলে আমরা শুধু দেশেই উৎপাদন করতে পারব না, প্রয়োজনে বিদেশেও রপ্তানি করতে পারব।’ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রতিনিধিসহ নেদারল্যান্ডসভিত্তিক গবেষকরা ২০২০ সালে বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় মাঠপর্যায়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ওই গবেষণা থেকে বাংলাদেশে ২২০ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল, ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৫২ প্রজাতির চিংড়ি, ৫ প্রজাতির লবস্টার, ৬ প্রজাতির কাঁকড়া, ৬১ প্রজাতির সি-গ্রাস চিহ্নিত করা হয়।’ রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বলেন, ‘এ খাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। তবে শুরুতে আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরিবর্তে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমন্ত্রণ জানাতে চাই।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী সমুদ্রের তলদেশে গ্যাস ও পানির সংমিশ্রণে তৈরি স্ফটিককে গ্যাস হাইড্রেট বলা হয়। এটা দেখতে বরফের মতো হলেও এতে প্রচুর মিথেন থাকে।

সর্বশেষ খবর