রবিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

২০২১ সালে সড়কে প্রাণ গেছে ৬২৮৪ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদায়ী ২০২১ সালে সারা দেশে ৫ হাজার ৩৭১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এসবে ক্ষতি হয়েছে ৯ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। যা জিডিপির শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৬ হাজার ২৮৪ জন। আহত  হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৮ জন। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে। এ দুর্ঘটনার সংখ্যা ২ হাজার ৭৮। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২১৪ জনের। যা মোট দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ৩৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৫২৩ জন পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। যা মোট মৃত্যুর ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। গতকাল সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব পরিসংখ্যান তুলে ধরে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এতে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ জানান, যানবাহনের অতিরিক্ত গতি, সড়কের সাইন-মার্কিং-জেব্রা ক্রসিং চালক এবং পথচারীদের না মানার প্রবণতা, যথাস্থানে সঠিকভাবে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ না করাসহ নানা কারণে পথচারীরা সড়কে মারা যাচ্ছেন। রাস্তায় হাঁটা ও পারাপারের সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা, হেডফোনে গান শোনা, চ্যাটিং করা এবং সড়কঘেঁষে বসতবাড়ি নির্মাণ ও সড়কের ওপর হাট-বাজার গড়ে তোলা ইত্যাদি কারণে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে। সংগঠনটি জানায়, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে দুর্ঘটনা বেড়েছে ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ সময়ে প্রাণহানি বেড়েছে ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। তাদের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২ হাজার ১৪টি জাতীয় মহাসড়কে, ১ হাজার ৬৭০টি আঞ্চলিক সড়কে, ৯৫৪টি গ্রামীণ সড়কে, ৬৬৫টি শহরের সড়কে ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ১ হাজার ৫৭টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১ হাজার ৮১৩টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১ হাজার ৫৬৬টি পথচারীকে চাপা অথবা ধাক্কা দেওয়া, ৮২২টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১১৩টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে। এ ছাড়া রাস্তায় হাঁটার সময় ৫৩ দশমিক ৫১ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাস্তা পারাপারের সময় ঘটেছে ৪৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ দুর্ঘটনা। ৬১ দশমিক ৮০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে যানবাহনের বেপরোয়া গতির কারণে। দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বাসযাত্রী ৩৮৯ জন, ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান যাত্রী ৪৫৭ জন, মাইক্রোবাস-প্রাইভেট কার-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ যাত্রী ২৭৬ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক-টেম্পো-লেগুনা) ৯৩৪ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-পাখিভ্যান-চান্দের গাড়ি-বোরাক-টমটম) ৩৫৯ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ১৩২ জন।

সর্বশেষ খবর