বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় টিকে থাকার কৌশল। এ জন্য সরকার বিভিন্ন কলাকৌশল শুরু করেছে।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম এ সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, কীসের সংলাপ? অনেক রাজনৈতিক দল এই সংলাপ বর্জন করেছে। তারা পরিষ্কার করে বলেছে, এই সংলাপে লাভ হবে না। এটা অর্থহীন সংলাপ। নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই, যদি নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হয়। সরকারের তিন বছরপূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর শাসনামলে এ দেশকে মধ্য আয়ের দেশে নিয়ে গেছেন। কিন্তু এই ১৩ বছরে দরিদ্র মানুষ দরিদ্রতর হয়েছে। বড়লোক আরও বড় হয়েছে। ৪ কোটি মানুষ বেকার হয়েছে। ৬ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছে। আওয়ামী লীগের লোকেরা অন্যায়ভাবে সব সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন দেশে টাকা পাচার করে সম্পদ গড়ছে। আজকে সমস্ত দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সমালোচনা করে বলেন, খালি দিন গুনতে থাকেন। পতনের ঘণ্টা বাজছে। অচিরেই বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। আয়োজক ফোরামের আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, মশিউর রহমান, বিএনপি নেতা মজিবর রহমান সরোয়ার, ফজলুল হক মিলন, শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ।
