সোমবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ধান খেতে পরাজিত প্রার্থীর লাশ

ইউপি নির্বাচন ঘিরে থামছে না সহিংসতা

প্রতিদিন ডেস্ক

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা চলছেই। গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনের পর গতকাল নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় ধান খেত থেকে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলে গতকাল পর্যন্ত ইউপি নির্বাচনের সংঘাতে ১১৪ জনের প্রাণহানি হলো।

নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, নির্বাচনের তিন দিন পর নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের একটি ধান খেত থেকে জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত জহিরুল ৫ জানুয়ারি শেষ হওয়া ইউপি নির্বাচনে তালা প্রতীক নিয়ে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছনগাঁও গ্রামের ফারুক মাস্টারের বাড়ির পাশের খেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জহিরুল ইসলাম ওই গ্রামের হায়াত আহমদের ছেলে। তিন সন্তানের জনক তিনি। জহিরুল ইসলাম ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে হেরে যান।

নিহতের স্বজনরা জানান, স্থানীয় বজরা  ইউনিয়নের ইসলামগঞ্জ বাজারে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল মেম্বার পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জহিরুল ইসলামের। প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার রাতে নিজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি যান জহিরুল। রাত ১২টার দিকে তার মোবাইলে একটি কল আসার পর বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর রাতে আর বাড়ি ফিরে যাননি। গতকাল সকালে তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী ফারুক মাস্টারের বাড়ির পাশের একটি ধান খেতের পানিতে ভাসমান অবস্থায় জহিরুলের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, জেলার শৈলকুপায় নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল সকালে উপজেলার ভাটই বাজারে এ কর্মসূচি পালন করে ভাটই অটিজম ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিদ্যালয়টির শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেন। এ সময় বক্তৃতা করেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক রিজভী আহমেদ, সালমা খাতুন, আয়েশা খাতুন, কোহিনূর খাতুন, অভিভাবক নির্জল হোসেন, মতিয়ার রহমান, আনোয়ারুল ইসলামসহ অন্যরা। এ সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, উপজেলার দুধসর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন সাবু ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। শুক্রবার গভীর রাতে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী টিএ রাজুর সমর্থকরা বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

সর্বশেষ খবর