ফতুল্লার ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চ এমভি ফারহান-৬ এর ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে নিখোঁজ ১০ যাত্রীর মধ্যে গতকাল ছয়জনের লাশ ভেসে উঠেছে। ভেসে ওঠাদের মধ্যে একই পরিবারের নিখোঁজ হওয়া জেসমিন আক্তার (৩০) ও তার মেয়ে তাসমিন আক্তারের (১৫) লাশও রয়েছে।
অপর চার লাশের পরিচয় হলো- ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকার রাজু সরদারের ছেলে সাব্বির (১৮), আবদুুল জলিল ব্যাপারীর মেয়ে জোসনা বেগম (৩৫), আক্কাস আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন (২৫) ও রেকমত আলীর ছেলে মোতালেব (৪২)। জানা গেছে, নদীতে লাশ ভেসে থাকতে দেখে উদ্ধারকর্মীদের খবর দেন স্থানীয়রা। পরে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল লাশ উদ্ধার করে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এ ছাড়া সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল আবদুুল্লাহ (২২), বিল্লাল হোসেন (২৪), তার দেড় বছরের মেয়ে তাফসিয়া ও আট বছরের তামিম। নিখোঁজদের সন্ধানে নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছিলেন স্বজনরা। দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুুল্লা আল আরেফিন জানান, সকালে ধর্মগঞ্জ ঘাটের অদূরে ৪টি লাশ ভেসে ওঠে। ডুবে যাওয়া ট্রলারটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। যেখানে ট্রলার ডুবেছে, সেখান থেকে কিছুটা দূরে চারটি লাশ ভেসে উঠতে দেখে আমাদের খবর দিয়েছিলেন স্থানীয় লোকজন। আমরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। লাশ উদ্ধারের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ট্রলারডুবির ঘটনায় সাত সদস্য তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক রিফাত ফৌরদোস সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় জানান, উদ্ধারের পর ছয়টি লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং প্রত্যেক পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। আরও চারজন নিঁেখাজ রয়েছেন। যতক্ষণ নিখোঁজ আরও চারজনের সন্ধান না পাওয়া যাবে- ততক্ষণ উদ্ধারকারী দল নদীতে তল্লাশি চালিয়ে যাবে।