সিরিজের প্রথম টেস্টে ঐতিহাসিক জয় পেয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। গতকাল ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম দিনে ১ উইকেট হারিয়ে ৯০ ওভার খেলে তুলে নিয়েছে ৩৪৯ রান। বাংলাদেশের বোলারদের জন্য দিনটি ছিল হতাশার। ক্রাইস্টচার্চের উইকেট প্রথম দিন বোলারদের অনেক সুবিধা দেয় বলেই জানা ছিল। এই তথ্য মনে রেখেই টস জিতে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। কিন্তু এবার বিপরীত দৃশ্য দেখা গেল। বাংলাদেশের বোলাররা ঘাসের উইকেটের সুবিধা নিতে ব্যর্থ হলেন। সারা দিন অবলীলায় ব্যাটিং করে গেলেন লাথাম-কনওয়েরা। অথচ এই মাঠে অনুষ্ঠিত আগের টেস্টের প্রথমদিনে ( ২০২১ সালের জানুয়ারি) পাকিস্তানের ১০ উইকেট শিকার করেছিল নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। কিন্তু বাংলাদেশের বোলাররা পারল না। দিনের একমাত্র সফলতা শরিফুল ইসলামের বলে মোহাম্মদ নাঈমের ক্যাচ। ম্যাচের ৩৮তম ওভারের শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন উইল ইয়াঙ। সে সময় নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ১৪৮ রান। অবশ্য টম লাথামকে এক ওভারে দুইবার এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন আগের ম্যাচের নায়ক ইবাদত। দুবারই আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান কিউই অধিনায়ক। লাঞ্চের পর প্রথম ওভারে ইবাদতের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন উইল ইয়াঙ। নাজমুল হোসেন শান্ত সহজেই ক্যাচটি নিতে পারতেন। কিন্তু লিটন দাস ক্যাচ নিতে গিয়ে তা ফেলে দেন। সেই বলেই ওভারথ্রো থেকে ৭ রান যোগ হয় নিউজিল্যান্ডের খাতায়। বাংলাদেশের বোলারদের ব্যর্থতার দিনে দারুণ কাটালেন লাথাম ও ডেভন কনওয়ে। কিউই অধিনায়ক লাথাম ২৭৮ বল খেলে ১৮৬ রান করে অপরাজিত। ইনিংসে কোনো ছক্কা না হাঁকালেও ২৮টি চার মেরেছেন তিনি। ডেভন কনওয়ে ১৪৮ বল খেলে ৯৯ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন। নিজের ইনিংসে ১টি ছক্কা ও ১০টি চার মেরেছেন তিনি। প্রথমদিনেই বেশ খানিকটা পিছিয়ে গেল টাইগাররা। ক্রাইস্টচার্চে আরও ভয়ঙ্কর চারটি দিন অপেক্ষায় আছে।