মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
তৈমূর আলম খন্দকার

কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে থ্রেট

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে থ্রেট

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে রাতে আমার মার্কা হাতির পক্ষে কাজ করা নেতা-কর্মী, সমর্থক ও লোকজনের বাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে থ্রেট করা হয়েছে তারা যেন আমার পক্ষে কাজ না করে নৌকার পক্ষে কাজ করেন। আমার সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে। ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান কামালের বাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে তার কেয়ারটেকারকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি নিবেদন- আপনারা সচেতন থাকবেন। কোনো গুজবে কান দেবেন না। অনেক নির্যাতন হবে, সে নির্যাতন প্রতিরোধ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’ গতকাল সকালে বন্দরের মদনপুরে গণসংযোগকালে তৈমূর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

রাতে শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তৈমূর বলেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। কিছুক্ষণ আগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আমার সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম রবি যিনি বিএনপির জেলা আহ্বায়ক তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি পোলিং এজেন্ট নিয়ে আমার জন্য কাজ করছিলেন, সেই পোলিং এজেন্টদের নামের তালিকাসহ পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে গেছে। এর আগেও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেসব চেয়ারম্যান আমার পক্ষে নির্বাচনে নেমেছিলেন তাঁদের বাড়ি তল্লাশি হচ্ছে। ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান কামালের বাড়ি থেকে তাঁর কেয়ারটেকারকে ধরে নিয়ে গেছে। আমার মাইকিং করা অবস্থায় বন্দর থেকে একটি ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। আজ অহিদের বাড়ি পুলিশ গেছে, জোসেফের বাড়ি পুলিশ গিয়েছে অথচ তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তিনি মহানগর যুবদলের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এভাবে আমার নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। তার পরও আমরা গণতন্ত্রের স্বার্থে এ যুদ্ধ চালিয়ে যাব।’ শামীম ওসমানের প্রেস কনফারেন্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপি আমার কাছ থেকে সরানো যাবে না। আমার রক্তের প্রতিটি ফোঁটা থেকে বিএনপি পড়বে। একটা বিষয় প্রমাণিত এমপি এবং মেয়রের কথায়। তা হলো আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। তাদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান। কে কাকে বহিষ্কার করবেন, কে কার কমিটি ভাঙবেন, ঘুঘুর ফাঁদ দেখাবেন। আমার নির্বাচন যারা করছেন আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। বিভাজন সরকারি দলের মধ্যে।’ তৈমূর আরও বলেন, ‘আমি শামীম ওসমানের একটা বক্তব্যে স্যালুট জানাই যদিও তিনি বয়সে আমার চেয়ে ছোট। তা হলো তিনি বলেছেন ভোট জোর করে আদায় করা যায় না। ভোট ভালোবাসা দিয়ে আদায় করতে হয়। সরকারি প্রার্থী যেভাবে থ্রেট করছেন ফাদার-মাদার বলে, এটা এক ধরনের থ্রেট। যেভাবে চরিত্রহনন করছেন, তাঁর পক্ষে যে নামেনি তার বিরুদ্ধেই বলছেন। সরকারি দল বিভিন্ন কমিটি ভেঙে দিচ্ছে যারা তাদের পক্ষে না নামছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে শামীম ওসমানের বক্তব্যকে আমি স্যালুট জানাই।’ তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনটা হচ্ছে ১৮ বছরে পৌরসভার ব্যর্থতা। কোনো নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি পায়নি পক্ষান্তরে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি পেয়েছে, পানির জন্য দেড় লাখ টাকা নেওয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশন থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হলেও ট্যাক্স দিতে হয় যেটা অন্য কোনো সিটি করপোরেশনে নেই। সিটি করপোরেশন কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নয়। এটা একটা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সিটি করপোরেশন জনগণকে সেবা দেবে। কিন্তু সেই সেবার বদলে তাদের ট্যাক্স বেশি গুনতে হচ্ছে। উন্নয়ন প্রজেক্টের কথা বলা হয়। আমরা চাই পরিকল্পিত উন্নয়ন। সে উন্নয়নের প্রশ্নে আপনি দেখবেন সিটি করপোরেশন কন্ট্রাক্টরদের সিন্ডিকেটে পরিণত হয়েছে। এ নির্বাচনেও প্রতি ওয়ার্ডে কন্ট্রাক্টররা নির্বাচন পরিচালনা করছেন। সেখানে সিটির কর্মচারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর