বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল মির্জা ফখরুলের এবং আগের দিন স্ত্রী রাহাত আরা বেগমের করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। চিকিৎসকের পরামর্শে দুজনই বর্তমানে তাদের উত্তরার বাসায় আছেন। উভয়েরই শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, কয়েক দিন ধরেই বিএনপি মহাসচিবসহ তার স্ত্রী অসুস্থতা বোধ করছিলেন। সোমবার রাহাত আরা বেগম এবং গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের করোনা টেস্টের ফলাফল পজিটিভ এসেছে। দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তাঁরা। এদিকে দলের মহাসচিব এবং তাঁর স্ত্রীর করোনা পজিটিভ হওয়ায় যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খোঁজখবর রাখছেন। মির্জা ফখরুল ও তাঁর সহধর্মিণী রাজধানীর উত্তরার বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থেকে স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউ ও করোনা বিশেষজ্ঞ ডা. রায়হান রাব্বানীর তত্ত্বাবধানে চকিৎসা নিচ্ছেন। দুজনই এখন সুস্থ আছেন। গলায় কিছুটা খুশখুশ কাশি ছাড়া আর কোনো উপসর্গ এখনো দেখা যায়নি।

এর আগে গত বছর ১০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হন। গুলশানের বাসায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসকরা তাঁর চিকিৎসা দেন। এ ছাড়া গত বছর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসুর মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ কেন্দ্রীয় অনেক নেতা এবং দলের স্থায়ী কমিটি থেকে অবসর নেওয়া সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মাহবুবুর রহমান সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সেরে উঠলেও করোনায় মারা যান- দলের ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, আবদুল মান্নান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা খুররম খান চৌধুরী। এ ছাড়া খন্দকার আহাদ আহমেদ, আবদুল আউয়াল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানসহ আরও বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ দল ও অঙ্গসংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতা মৃত্যুবরণ করেন।