বুধবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে বিলাসী জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে তদবির বাণিজ্য থেকে শুরু করে নানা রকম প্রতারণা করছিলেন তিনি। তার নাম মাহবুবুর রহমান (৫০)। প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের থেকে হাতিয়ে নেওয়া লাখ লাখ টাকায় বিলাসী জীবন যাপন করতেন। সর্বশেষ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা করতে গিয়ে ধরা পড়েন।

সিআইডির ফাইন্যানশিয়াল ক্রাইম ও অর্গানাইজড ক্রাইমের নামে একটি ভুয়া অফিস আদেশ দিয়ে প্রতারণা করতে গিয়ে সোমবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে আটক হন মাহবুব। গতকাল রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এসব জানান। তিনি বলেন, আটক মাহবুবুর রহমান নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে থানা-ফাঁড়িসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত অফিসারদের কাছে তদবির বাণিজ্য করে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় মতিঝিল থানার একটি মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন এবং অবৈধ সুবিধা দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগী থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নেন। ওই ভুক্তভোগীকে তার প্রভাব ও ক্ষমতা বোঝানোর জন্য মামলার আইও পরিবর্তনসংক্রান্ত সিআইডির ফাইন্যানশিয়াল ক্রাইম ও অর্গানাইজড ক্রাইমের একটি ভুয়া অফিস আদেশ তৈরি করে তাদের দেন। ওই ভুক্তভোগী অফিস আদেশের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন মারফত জানার চেষ্টা করলে বিষয়টি সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রমাণ সংগ্রহ করতে থাকে সিআইডি। পরে প্রতারণার সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়ে সিআইডির এলআইসি ও ফাইন্যানশিয়াল ক্রাইমের সমন্বিত একটি চৌকস টিম দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী থেকে তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি জানান, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরে অনেক লোককে চাকরিতে নিয়োগ-পদোন্নতি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়েছেন। এ ছাড়া জমির দালালিসহ অন্যান্য প্রতারণার কাজ তিনি অত্যন্ত সুনিপুণভাবে করে আসছিলেন।

সর্বশেষ খবর