শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

রাজনীতির চোখ নারায়ণগঞ্জে

আওয়ামী লীগের অ্যাসিড টেস্ট, ছদ্মবেশী বিএনপির কঠিন পরীক্ষা, প্রচার শেষ আজ

রফিকুল ইসলাম রনি ও আরাফাত মুন্না, নারায়ণগঞ্জ থেকে

আর মাত্র একদিন পর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। আজ মধ্যরাতে শেষ হবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। বছরের প্রথম স্থানীয় সরকারের এই বড় ভোটে নারায়ণগঞ্জে চোখ সবার।

এ ভোট আওয়ামী লীগের জন্য অ্যাসিড টেস্ট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দলীয় প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সামনে চ্যালেঞ্জ স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার। সিটি ভোটে অংশ নেওয়ায় তৈমূরকে বিএনপির দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। এভাবে ‘কৌশলে’ মাঠে নামায় ছদ্মবেশী বিএনপির জন্য এ নির্বাচন অগ্নিপরীক্ষা। নাসিক নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের সুযোগ কাজে লাগাতে। প্রার্থীদের পাশাপাশি কর্মী-সমর্থকরাও যাচ্ছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে। হেভিওয়েট দুই মেয়র প্রার্থী করছেন অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ। আজ থেকে কঠোর নিরাপত্তাবলয়ে থাকবে নাসিক নির্বাচনী এলাকা। র‌্যাব, পুলিশের স্পেশাল টিম রবোকপ, বিজিবি, পুলিশ, আর্মড পুলিশ, আনসারসহ সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে আছে। ভোট নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে শেষ মুহূর্তে। নৌকার পক্ষে গণজোয়ার দেখছে আওয়ামী লীগ। ভয়ভীতি উপেক্ষা করে মানুষ কেন্দ্রে এলে ভোট বিপ্লব হবে মনে করেন তৈমূর। আগামী ১৬ জানুয়ারি (রবিবার) নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী ভোট গ্রহণের ৩৬ ঘণ্টা আগে প্রচার-প্রচারণা বন্ধ করতে হয়। সে হিসেবে আজ রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে প্রচার কার্যক্রম। রাত ১২টার মধ্যে বহিরাগতদের নাসিক এলাকা ছাড়তে মাইকিং করা হয়েছে। সময় ঘনিয়ে আসায় শেষ মুহূর্তের দৌড়ঝাঁপ দিচ্ছেন প্রার্থীরা। ৪২ হাজার ৪৩০ জন নতুন ভোটার এবং ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯ জন নারী ভোটারের দিকেই বেশি ছুটছেন তারা। তারা মনে করছেন, নৌকার ভোট হাতিতে আবার হাতির ভোট নৌকা- এরকম সমীকরণে এই দুই প্রতীকের অবস্থানে খুব বেশি দূরত্ব নেই। সে কারণে নারী ও নতুন ভোটারদের দৃষ্টি যেখানে পড়বে তাদের পাল্লাই ভারী হবে। অন্যদিকে জয়ের স্বপ্ন না দেখলেও সম্মানজনক হারের কথা ভেবে নীরবে পথ চলছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মা. মো. মাসুম বিল্লাহ। ২০১৬ সালের নাসিক নির্বাচনে তিনি ২৬ হাজারের মতো ভোট পেয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলাদলির সুযোগ নিয়ে নিজের ভোটব্যাংক সমৃদ্ধ করতে চান তিনি। এ ছাড়া ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ভোটের দিকেও তার বিশেষ নজর রয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে খেলাফত মজলিসের দেয়ালঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী এ বি এম সিরাজুল মামুন, ঘোড়া মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ প্রতীকের প্রার্থী মো. জসীম উদ্দিন ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মো. রাশেদ ফেরদৌসও যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। তবে সব ছাড়িয়ে সবার দৃষ্টি নৌকা এবং হাতির দিকেই। উভয় প্রার্থীর লোকজনের ভাষ্য, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আইভী সমর্থকদের মধ্যে উৎফুল্ল মনোনভাব দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে ভোটারদের প্রতি প্রচন্ড ভরসা নিয়েই প্রশাসনিক ধরপাকড়ের শঙ্কা উপেক্ষা করে ভোটের ময়দানে আছেন তৈমূর পন্থীরা। গতকাল নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে নৌকার প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘নতুন ভোটাররা অনেক সচেতন। ওরা চায় আধুনিক নগরী, খোলা ময়দান, খেলার মাঠ। আমি এ ব্যাপারে অনেক কাজ করেছি। ভবিষ্যতেও করব। আমি সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে যেমন আমার দলের কাজ করেছি, তেমনি দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করেছি। এগুলো নতুন ভোটারদের পছন্দ। আমি পরিষ্কারভাবে কথা বলি, আমার মধ্যে স্বচ্ছতা আছে, মিথ্যার আশ্রয় নেই না। এ জন্য নতুন ভোটাররা আমাকে ভোট দেবে।’ ১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণাকালে হাতি প্রতীকের প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘পোলিং এজেন্ট আমরা তিন সেট তৈরি করে রেখেছি। আমাদের কোনো পোলিং এজেন্ট যদি গ্রেফতার হয়, তাহলে আরেকজন যাতে সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেন- তাই এ ব্যবস্থা। কেন্দ্রকে রক্ষা করার জন্য প্রতিটি কেন্দ্র কমিটি করা হয়েছে।’ তিনি কী সত্যিই স্বতন্ত্র প্রার্থী নাকি এখনো বিএনপির- এমন সংশয় দূর করতে তৈমূর বলেন, ‘সরকারদলীয় প্রার্থী এসব কথা বলে আমার জন্য একটি ভালো অবস্থান তৈরি করেছে। জনগণ এখন মনে করে, আমার দল বিএনপি ও ২০ দল এখন আমার সঙ্গে আসছে। বরং সরকারি দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে। তারা এমপিদের বিরুদ্ধে কথা বলে, কঠিনভাবে সমালোচনা করে, জনগণের মাঝে এই মেসেজটা দিয়েছে। তৈমূর আলম বলেন, ‘আমার দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। এরপরও জনগণ যদি ভোট দেওয়ার সুযোগ পায় আমি জয়ী হব।’ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী মনিটরিং টিমের প্রধান ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বছরের প্রথম বড় নির্বাচন হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন। এই নির্বাচনের দিকে নজর সারা দেশের। কাজেই একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু ভোট আমাদের প্রত্যাশা। দলে ভিতরে ছোটখাটো যে সমস্যা ছিল তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নৌকার গণজোয়ারে হাতি গাং পার হয়ে বনে চলে যাবে। নৌকাই বড় ভোটে বিজয়ী হবে।’ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিএনপি চতুরতার আশ্রয় নিয়ে তৈমূরকে প্রার্থী করেছে। তারা সরাসরি না খেয়ে হাত ঘুরিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করছে। তৈমূরকে অব্যাহতি দিয়ে তারা মনে করেছে, নির্দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হবে। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হবে না। আগুনসন্ত্রাসী ও অর্থ লুটপাটকারীদের নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভোট দেবে না। উন্নয়নের পক্ষে নৌকায় ভোট দেবে।  স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোন্দলের কথা মাথায় রেখেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, দলের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, গুটিকয়েক স্থানীয় নেতা এবং নারায়ণগঞ্জের পার্শ¦বর্তী জেলার আওয়ামী লীগের নেতারাও কয়েক দিন ধরে আছেন নারায়ণগঞ্জে। বৃহস্পতিবার দিনভর ছিল এসব নেতাকর্মীর সরব উপস্থিতি।  সকাল থেকেই  আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা  নামছেন। নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমন্বয়ক টিমে যুক্ত জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সদস্য সচিব মির্জা আজম প্রতিদিনের ধারাবাহিকতায় গত দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত জনসংযোগ চালান। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ সিটির ২৭টি ওয়ার্ডের নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে নিয়োজিত আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদুন্নাহার লাইলী, সুজিত রায় নন্দী, আফজাল হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, আমিনুল ইসলাম, শামসুন নাহার চাঁপা, ডা. রোকেয়া সুলতানা, এ বি এম রিয়াজুল কাওছার, আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মো. গোলাম রব্বানী চিনু, মারুফা আক্তার পপি, আবদুল আউয়াল শামীম, আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন- এদের প্রায় সবাই কয়েক দিন ধরে নৌকার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য জনসংযোগ করেন। তারা নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন। সিটি ঘুরে দেখা গেছে, আইভীর জনসংযোগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের চাপে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কোন্দল পুরোপুরি নিরসন না হলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি কিছুটা বেড়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা আইভীর পক্ষে কাজ করবেন কি না এ সংশয় থেকেই যাচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের মতো কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের দীর্ঘ বহর না থাকলেও ভক্ত-অনুসারীদের নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তৈমূর। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, তৈমূরের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক এবং প্রধান এজেন্ট এ টি এম কামাল ও একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপির কিছু নেতা তৈমূরের জনসংযোগে ছিলেন। তবে মিছিলের সারি নৌকার চেয়ে কিছুটা কম হলেও প্রশাসনিক শঙ্কা কাটিয়ে লোকসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।

আজ থেকে কঠোর নিরাপত্তাবলয় : সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজ থেকে কঠোর নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হবে নারায়ণগঞ্জে। বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও থাকবেন মাঠে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। আজ রাত ১২টা থেকে নগরীতে মোটরসাইকেল চলাচলও বন্ধ করা হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাইন বিল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে ৩০টি মোবাইল কোর্ট কাজ করবে। নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শুক্রবার থেকে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মাঠে কাজ করবে। এ ছাড়া রবিবার ভোট গ্রহণের দিন দায়িত্বে থাকবে বিজিবির ২০ প্লাটুন সদস্য। পাশাপাশি প্রতি ওয়ার্ডে র‌্যাবের একটি করে টিম কাজ করবে। জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ জায়েদুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ভোটের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর সুযোগ রাখা হবে না। তিনি বলেন, ১৯২টি ভোট কেন্দ্রকেই অতিগুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। মোতায়েন থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত পাঁচ সহস্রাধিক সদস্য। ভোটের দিন পুলিশের ৩ হাজার সদস্য, এ ছাড়া ২০০ প্লাটুন আর্মড পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

মাঠে থাকবেরোবোকফ: পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, ভোটের দিনে অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে মাঠে থাকবে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ বাহিনী ‘রোবোকফ’। তিনি বলেন, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেলে স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি বিশেষায়িত এই বাহিনী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এক কথায় বলতে গেলে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ শতভাগ প্রস্তুত।

মক ভোটিং আজ  : ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন নাসিকের ভোটাররা। তাই নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে ১৯২টি কেন্দ্রে আজ মক ভোটিংয়ের (ভোটারদের প্রশিক্ষণ) আয়োজন করা হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মতিয়ুর জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে এই মক ভোটিংয়ের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত যে কেউ এসে ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হয় তা দেখতে পারবেন ও মক ভোট দিতে পারবেন।

বিশৃঙ্খলা হলে দেখবে প্রশাসন : আইভী

কাউকে ধমক দিয়ে কাজ হয় না : তৈমূর

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর