শনিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

জেলা সমাবেশের তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনা করে দলের পূর্বঘোষিত জেলা সমাবেশের তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অগণতান্ত্রিক ও দমনমূলক আখ্যা দিয়েছে দলটি। গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জেলা সমাবেশের তারিখ পরিবর্তনের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। সমাবেশগুলোর পরিবর্তিত নতুন দিন-তারিখ পরে জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির  দাবিতে ১২ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দলটি ৩৯ জেলায় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে। তার মধ্যে ১২ জানুয়ারি ৭টি জেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম দফায় একই দাবিতে দেশের ৩২টি জেলা ও বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করেছে বিএনপি। লিখিত বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা অযৌক্তিক ও অকার্যকর। কিন্তু তারপরও জনস্বার্থ এবং প্রাসঙ্গিক সবকিছু বিবেচনা করে বিএনপির সমাবেশগুলোর তারিখ পুনর্নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপি ও সব অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলার নেতৃবৃন্দকে পুনর্নির্ধারিত তারিখে সভা-সমাবেশ করার জন্য প্রস্তুতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেখানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হতে পারে, হাটবাজার, যানবাহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে। দোকানপাট, শপিং মল খোলা রাখা যাবে। সারা দেশে মেলার আয়োজন করা যাবে, সেখানে উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শান্তিপূর্ণ সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করার কোনো যুক্তিসংগত কারণ থাকতে পারে না। এর মূল উদ্দেশ্য হলো বিএনপির আন্দোলনের যে কর্মসূচি চলছিল, সেটাকে বাধাগ্রস্ত করা। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ডয়েচে ভেলের জন সার্ভে হয়েছে। তাতে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে, এটা কি সরকার রাজনৈতিক কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত করার জন্য করেছে, নাকি স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য করেছে। ৮৮ শতাংশ মানুষ বলেছে, রাজনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধির পক্ষে এ কাজটি করা হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর