শিরোনাম
সোমবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ইভিএম কারচুপি ও টানা গ্রেফতারে পরাজয় : তৈমূর

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে হেরে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, ইভিএম কারচুপি ও একের পর এক গ্রেফতার অভিযানই পরাজয়ের কারণ। তিনি বলেন এটা আমাদের নয়, সরকারের পরাজয়। জনগণের ভালোবাসায় আমরা জয়ী, তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। গতকাল পরাজয় হওয়ার খবরে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। তৈমূর বলেন, আমার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সমন্বয়ককে কাগজসহ গ্রেফতার করা হয়। তার মাধ্যমেই শুরু হয় এবং আমার লোকজন প্রতিদিনই গ্রেফতার হতে থাকে। হেফাজতের মামলার  আসামি দেওয়া হয়েছে সবাইকে। এদের মধ্যে হিন্দু লোকও আছে। এখন দেখা যায়, মুসলমান তো করেই হিন্দুরাও হেফাজত করে। ভোটের দিন সকাল থেকে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বন্দরের সমন্বয়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার চিফ এজেন্টের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। এ অবস্থায় একটা মানুষ স্বতন্ত্র দাঁড়িয়ে কীভাবে ঠিক থাকতে পারে। তারপরও জনগণ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঢাকার মেহমানদের অতিরঞ্জিত কথার পরে গ্রেফতার শুরু হয়েছে। জাহাঙ্গীর কবির নানককে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, তখন তিনি বলেছিলেন, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আমি থাকি, আমার ভাই তিনবারের কাউন্সিলর। আর ১২ নম্বর ওয়ার্ড সরকারি এমপির ওয়ার্ড। আমি বললাম, সরকারই যদি তার এমপির কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে তাহলে আমার কিছু করার নেই। আমার কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই। তৈমূর বলেন, বেশ কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ত্রুটিপূর্ণ ও স্লো ছিল। অনেক লোক ভোট দিতে পারেনি। ইভিএমের কারচুপির জন্য আমাদের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। আর আমার লোকজন বাড়িতে থাকতে পারেনি। এটিএম কামালের মতো লোককে ঘেরাও করা হয়েছে গ্রেফতার করার জন্য। হাতি প্রতীকে ভোট করা এই প্রার্থী বলেন, সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিষয়ে আগেও মন্তব্য করিনি, এখনো করব না। এটা খেলা হয়েছে সরকার বনাম জনগণ, সরকার বনাম তৈমূর আলম খন্দকার। আমি সিটি করপোরেশনের জন্য কী করেছি, তা তাকে জিজ্ঞেস করেন। নারায়ণগঞ্জবাসী এগুলো জানে।

সর্বশেষ খবর