বুধবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
হাফ ভাড়া নিয়ে বিতন্ডা

দুই ছাত্রকে মারধর করে মানিব্যাগ ঘড়ি নেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর তিতুমীর কলেজের দুই শিক্ষার্থীর হাতঘড়ি ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মনজিল পরিবহনের চালক এবং হেলপারের বিরুদ্ধে। বাসের নম্বর ঢাকা মেট্রো ব-১৪ ৯৬৪৫। নাহিদ ও দুর্জয় নামে ওই দুই শিক্ষার্থী তিতুমীর কলেজের অর্থনীতির চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

তারা বলছেন, পূর্ণ ভাড়া না দেওয়ায় তাদের মারধর করা হয়েছে। উল্টো তাদের হাতঘড়ি ও মানিব্যাগও কেড়ে নিয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ওই দুই শিক্ষার্থী তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন। ঘটনাটি জানালে তাদের বিক্ষুব্ধ সহপাঠীরা ওই রুটে চলাচল করা মনজিল পরিবহনের সাত-আটটি বাস আটকে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর সন্ধ্যায় বনানী থানায় বাসমালিক পক্ষ ও তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা আপস করেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের কিছু ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর গাজীকে গতকাল সন্ধ্যায় একাধিকবার মোবাইলফোনে কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি।

তবে গুলশান ট্রাফিক বিভাগের মহাখালী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আশফাক আহমেদ বলেন, হাফ ভাড়া না নিয়ে তিতুমীর কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মনজিল পরিবহনের কয়েকটি বাস আটক করে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য বাস মালিকের প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি বনানী থানায় বসে আপস করেছেন। শিক্ষার্থীদের কিছু ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা তিনি শুনেছেন। তাদের হাতঘড়ি ও মানিব্যাগ উদ্ধারের বিষয়ে থানা ভালো বলতে পারবে। জানা গেছে, গতকাল সকাল ৮টায় মহাখালী কাঁচাবাজার থেকে নাহিদ ও দুর্জয় খিলক্ষেত যাওয়ার জন্য বাসে ওঠেন। ওই দুই শিক্ষার্থী স্টুডেন্ট পাসের কথা বলে হাফ ভাড়া দিতে চাইলে মনজিল বাসের হেলপার ফুল ভাড়া চান। ভাড়া নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করেন চালক-হেলপার। এরপর শিক্ষার্থীদের মানিব্যাগ ও হাতঘড়ি খুলে নিয়ে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। ঘটনার পর তারা তিতুমীর কলেজে ফিরে আসেন। ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাখালী কাঁচাবাজারের সামনের চলাচলকারী মনজিল পরিবহনের অন্য সাত/আটটি বাস আটকে দেয় ছাত্ররা।

এ সময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ওই চালক-হেলপারকে ঘটনাস্থলে আনতে হবে। ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মানিব্যাগ ও হাতঘড়ি ফিরিয়ে দিতে হবে। হামলাকারী চালক-হেলপারের বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে হবে। বিক্ষোভকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বনানী থানার অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।

সর্বশেষ খবর