মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

মিজান-বাছিরের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মিজান-বাছিরের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে দুদক

ঘুষ লেনদেনের মামলায় বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ও পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে দুদক। দুদকের পক্ষ থেকে গতকাল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল। এই মামলায় আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছে আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ দিন ধার্য করেন।

দুদকের পিপি মোশাররফ হোসেন জানান, এ মামলায় গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। গতকাল দুদকের পক্ষ থেকে তিনি আদালতের কাছে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

আদালত-সূত্র জানায়, মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।

দুদকের মামলা থেকে বাঁচিয়ে দিতে তৎকালীন ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয় এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে এর প্রমাণ মেলায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুজনের বিরুদ্ধেই মামলা করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ওই বছরের ১৮ মার্চ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরে ১৯ আগস্ট মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, এনামুল বাছির কমিশনের দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। মিজানুর রহমানকে অবৈধ সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁর কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন। ঘুষের ওই টাকার অবস্থান গোপন করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।

সর্বশেষ খবর